নারী সহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক সচিব কাজী শরিফুল ইসলামকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৫ টায় চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১২ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আসামি কাজী শরিফুল ইসলামকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এবিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম বলেন, রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। উচ্চ আদালতে আসামির পক্ষে আপিল করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজারকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তৎকালীন পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম। ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ওই নারী তার কক্ষে কাজ করছিলেন। এ সময় সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সচিব কিলঘুষি মেরে তাকে আহত করেন। পরে অন্যান্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
২০১৬ সালের ১ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী।