ঈদুল আযহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সাইকো’ সিনেমার পরিচালক অনন্য মামুন চ্যানেল আই অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত জলিলের সিনেমার বাজেট নিয়ে ‘কৌশলে খোঁচা’ দিয়েছেন। অনন্য মামুনকে জবাবে নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল কান ধরে উঠবস করাতে চেয়েছেন।
অনন্তের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘নবাব এলএলবি’ খ্যাত পরিচালক অনন্য মামুন। চ্যানেল আইয়ের ‘টু দ্য পয়েন্ট’ টক শো-তে অনন্ত বলেন, মামুনের সাহস থাকলে আমার সামনে বলুক। তাকে কান ধরে ওঠবস করাবো।
এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে অনন্য মামুনের ভাষ্য, ‘আমি তো অনন্ত জলিলের কোনও বেতনভুক্ত কর্মচারী নই। তার রক্তের সম্পর্কের কোনও আত্মীয়ও নই। তিনি কেন আমাকে এভাবে কথা বলবেন?’
পরিচালক সমিতির সদস্যপদ পাওয়ার ফি-র টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলছেন, ‘তার টাকায় ফি পরিশোধ করে ডিরেক্টরশিপ নিয়েছি এটা সত্যি নয়। ওটা আমার টাকা। আমি তার কাছ থেকে কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ওই টাকা পেয়েছি। আমার পারিশ্রমিকের ফি তো তার টাকা হতে পারে না।’
অনন্ত জলিলের কোনও সমালোচনা করেননি উল্লেখ করে অনন্য মামুন দাবি করেছেন, ‘আমি নাকি অনন্ত জলিলের সমালোচনা করেছি। কোথায় করেছি সেটা তিনি দেখাতে পারবেন? আমি তো তার সমালোচনা করিনি। তিনি কেন আমাকে নিয়ে এভাবে মন্তব্য করবেন। তাকে নিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলতে চাই না।’
চ্যানেল আই অনলাইনকে অনন্য মামুন
টক শোতে উপস্থিত হয়ে অনন্ত জলিল বলেছেন, ‘অনন্য মামুনকে আমি ডিরেক্টর বানিয়েছি…। আমার টাকায় ওর ডিরেক্টর ফি (পরিচালক সমিতির সদস্যপদ) পর্যন্ত দিয়েছি, এক লাখ ৬০ হাজার টাকা…। সমালোচনা যদি আমার সামনে কোনও দিন করে, আর আমার চোখে পড়ে; ওকে (অনন্য মামুন) তো আমি কান ধরে ওঠাব-বসাব…। ওর এত বড় সাহস কোথা থেকে হলো… ওর কী যোগ্যতা আছে অনন্ত জলিলকে সমালোচনা করার মতো…।’
অনন্ত জলিলকে নিয়ে এর আগে সিনেমা বানিয়েছিলেন অনন্য মামুন। তখনই তাদের মধ্যে মনোমানিল্য হয়। অনন্য মামুন বলেন, কথায় কথায় একদিন অনন্ত ভাই আমার বাবা মাকে জড়িয়ে একটা গালি দেয়। ওই দিন থেকে আমি চলে আসি। তার আশ পাশের লোকজন টাকার জন্য অনন্ত জলিলকে হুজুর হুজুর করতে পারে, আমি না।
তিনি বলেন, ‘আপনার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প গুলো না বলি, কারণ আমি আপনাকে সম্মান করি। মানুষকে সম্মান করা পারিবারিক শিক্ষা।’
‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে অনন্ত জলিল: