ইউরোপা লিগের নকআউট পর্বের প্লে-অফ রাউন্ডের প্রথম লেগের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং বার্সেলোনা। অমীমাংসিত ম্যাচ শেষে দুই দলই রেফারি মৌরিজিও মারিয়ানিকে দোষারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে ন্যু ক্যাম্পে হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। বিরতির পর ৫০ মিনিটের মাথায় রাফিনহার কর্নার কিকে হেডে বল জালে জড়ান মার্কাস আলোনসো। লিড পায় বার্সেলোনা। দুই মিনিট পরই ফ্রেডের বাড়ানো বল নিয়ে হেডে সমতা টানেন র্যাশফোর্ড।
খেলার ৫৯ মিনিটে জুলেস কাউন্ডে নিজেদের জালে বল পাঠালে রেড ডেভিলরা এগিয়ে যায়। এরপর ৭৬ মিনিটের মাথায় কাউন্ডের পাসে বল আদায় করে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে রাফিনহা বার্সাকে সমতায় ফেরান।
ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের মতে, বার্সা ডিফেন্ডার জুলেস কাউন্ডে পরিষ্কার লাল কার্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করলেও রেফারি তা এড়িয়ে গেছেন।
রেড ডেভিলরা ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় মার্কাশ র্যাশফোর্ড বল নিয়ে গোলমুখে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন কাউন্ডে। ফাউলের বাঁশি না বাজিয়ে ইতালিয়ান রেফারি মারিয়ানি খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেন টেন হাগ।
‘মার্কাস র্যাশফোর্ডকে স্পষ্টতই ফাউল করা হয়েছিল। ফাউলটা বক্সের ভেতরে নাকি বাইরে হয়েছিল, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। তবে অবশ্যই এটায় লাল কার্ড দেখানো উচিৎ ছিল।’
‘আমি রেফারিকে প্রশ্ন করেছিলাম কেন লাল কার্ড দেয়া হয়নি। তিনি বলেছিলেন এটা বক্সের বাইরে ছিল এবং কোনো ফাউল ছিল না। লাইন্সম্যান এবং রেফারি ফাউলের সময় সেটি দেখার জন্য খুব ভালো অবস্থানে ছিল, ভিএআর ছিল। এটা একটা সত্যিই খারাপ সিদ্ধান্ত।’
‘হয়তো তারা বার্সার চাপে পড়েছিল। শুধু এই খেলায় নয় এই রাউন্ডেও এসব বড় প্রভাব পড়ে। রেফারিরা এমন ভুল করতে পারেন না।’
রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফাউলের শিকার হওয়া র্যাশফোর্ড। চলতি মৌসুমে ২২তম গোলের দেখা পাওয়া ইংল্যান্ডের এ ফুটবলার বিষয়টি মানতে পেরে বলেন, ‘আমার পা বলের সামনে ছিল। সে আমার পায়ে আঘাত করেছে। এটি স্পষ্টতই শতভাগ ফাউল।’
এদিকে, ডি বক্সের ভেতর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেডের বাহুতে বল লাগার পরও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি না বাজানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। ম্যাচের শেষদিকের এ ঘটনায় রেফারি কিংবা ভিএআর এটিকে স্পট কিকের সংকেত দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাভি বলেন, ‘আমার জন্য,সত্যিই একটা বড় শাস্তি। ফ্রেডের বাহুর অবস্থান স্বাভাবিক ছিল না। এটা খুবই পরিষ্কার। মিলানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (ইন্টারের বিপক্ষে) এবং এখন এখানেও একই ব্যাপার ঘটেছে। আমি জানি না পেনাল্টি পেতে আমাদের কী করতে হবে। পেনাল্টি না দেয়াটা অবিশ্বাস্য।’