আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছেলে ও মেয়েদের সমান ম্যাচ ফির ঘোষণা দিয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পারিশ্রমিক দেয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও ভারতের পথ অনুসরণ করে ইসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার শুরু হতে চলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ থেকেই নতুন ম্যাচ ফি কার্যকর হবে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজটিতে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলবে ইংলিশ মেয়েদের দল।
গতমাসে শেষ হওয়া মেয়েদের অ্যাশেজ সিরিজে রেকর্ড গড়া ১ লাখ ১০ হাজার দর্শক সমাগমের পর বেতন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে ইসিবি। জুন ও জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি একদিনের ম্যাচ, তিনটি টি-টুয়েন্টি ও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ইংল্যান্ডের নারী দল।
যেখানে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সিরিজের পর তাৎক্ষণিকভাবে গ্রীষ্মের শুরু থেকে ছেলে ও মেয়েদের বেতন সমতার জন্য সুপারিশ করেছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেট (আইসিইসি)।
আইসিইসি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ছেলেদের তুলনায় গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ বেতন কম পেতেন মেয়েরা, যদিও ইসিবি তা ৭০ শতাংশের কাছাকাছি বিবেচনা করে। ২০২৯ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ স্তরে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেতন সমান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তারা।
ইসিবি’র এমন পদক্ষেপকে ‘চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হেথার নাইট। বলেছেন, ‘এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা মেয়েদের খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, ইংল্যান্ডের নারী ও পুরুষদের জন্য সমান ম্যাচ ফি দেখতে পারাটা দুর্দান্ত।’
ইসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ড বলেছেন, ‘মেয়েদের খেলায় মনোনিবেশ বৃদ্ধি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভবিষ্যতের জন্য খেলোয়াড় তৈরি করতে মেয়েদের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করেছি। এছাড়া খেলোয়াড়দের পুরস্কার বৃদ্ধিতে উভয় ক্ষেত্রেই যথেষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছি।’
‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেট’র করা সমস্ত সুপারিশ বিবেচনা করছি। তবে ম্যাচ ফি সমান করার পদক্ষেপ এখন করতে পেরে আমরা খুশি। যেহেতু আমরা নারী ক্রিকেটের বিকাশ অব্যাহত রাখছি, আমরা বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করতে থাকব। যা নারী ক্রিকেট কাঠামোকে বহুদূর প্রসারিত করবে।’