ক্যালেন্ডারের পাতায় বাংলাদেশে বর্ষার প্রথম দিন আজ। তবে, এবছরও সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে ‘এল নিনো’র প্রভাবে বৃষ্টিপাত কম হতে পারে এই বর্ষায়।
দিন যত গড়াচ্ছে, প্রকৃতির অদ্ভুত আচরণের সাক্ষী হচ্ছে মানুষ। ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহে ‘এল নিনো’র’ আগমনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে।
পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে কোনও কোনও বছর উষ্ণ দক্ষিণমুখী এক স্রোতের সৃষ্টি হয়। যার নাম ‘এল নিনো’। এর প্রভাব পড়ে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র এবং সারা বিশ্বের আবহাওয়ায়। সাত বছর পর আবারও এই উষ্ণস্রোতের দেখা মিলেছে প্রশান্ত মহাসাগরে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে।
ষড়ঋতুর এই দেশের ঐতিহ্যবাহী আবহাওয়ার ধরণেও প্রভাব পড়ছে ‘এল নিনো’র’। যার ফলে বৃষ্টিপাত কমছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। বাংলাদেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেখায় অবস্থিত একটি নিম্নভূমির দেশ। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশগত ভারসাম্যের প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আবহাওয়ার এমন অদ্ভুত আচরণে কৃষকদের জমি চাষে হয়ত আরও সংগ্রাম পোহাতে হবে সামনে। বাড়বে খরার প্রবণতা আর পানি শূন্যতায় ফলনে ব্যর্থতা। তবে এমনটা না হোক, সেই প্রত্যাশা সবার। বৃষ্টি নামুক আর প্রাণ চঞ্চলতায় উজ্জীবিত থাকুক বিশ্ব।