গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর পূর্বের ধারণার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি গলে গেছে। গত ২ দশকে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর থেকে প্রায় ৫ হাজার গিগাটন বরফ গলে গেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।
গতকাল (১৭ জানুয়ারি) বুধবার বিজ্ঞান ভিত্তিক সাময়িকী নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়। গত চার দশক ধরে স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হিমবাহের এই বরফ গলে যাওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। গবেষণায়, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা ১৯৮৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হিমবাহের অবস্থানের প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার স্যাটেলাইট চিত্র সংকলন করেছেন। সেখানে হিমবাহগুলোকে গলে সমুদ্রের সাথে মিলিত হতে দেখা যায়।
গবেষকরা দেখেছেন, গ্রীনল্যান্ডের প্রান্তের চারপাশ ২০ শতাংশ বরফ গত চার দশক ধরে গলে গেছে এবং এর আগে এই হিসেবটা করা হয়নি। গবেষণা রিপোর্টের প্রধান লেখক চ্যাড গ্রিন বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি হিমবাহই কম বেশি পাতলা হয়ে গেছে বা সরে গেছে। যেহেতু দ্বীপের প্রান্তে বরফ ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মিশেছে, সেহেতু এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
অ্যান্টার্কটিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রীনল্যান্ডের হিমবাহের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্লাবনের হুমকি সৃষ্টি করছে। বরফ গলা পানি সমগ্র দ্বীপ দেশগুলো এবং সমুদ্রের তীরের শহরগুলোকে ডুবিয়ে দিতে পারে। এসব অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ বাস করে।