রাজধানী ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১৭ রেকর্ড করা হয়েছে, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়েছে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দৈনিক বায়ুর গুণমান রিপোর্ট করার একটি সূচক। সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত তা জনগণকে জানাতে এটি ব্যবহার করে।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছিল রাজধানী ঢাকা। ঢাকার বাতাসের মান সূচক (একিউআই) স্কোর ২৬৯ রেকর্ড করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে একিউআই ৫টি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে। এগুলো হচ্ছে—পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ ও পিএম ২.৫), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। সাধারণত শীতকালে এই শহরের বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান উত্স হল ‘ইট ভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং ভবন নির্মাণের ধুলা’।
শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তাঘাট, ইটভাটা এবং অন্যান্য উত্স থেকে ধুলি কণার নিঃসরণের ব্যাপকতায় বাতাসের গুণমান তীব্রভাবে খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির শীর্ষ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম স্থান করে নিয়েছে৷ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন। বায়ু দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ কোটি মানুষ মারা যান।