চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দু’আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। র‌্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার রাতে র‌্যাব-২ এর সদস্যরা রাজধানীর দক্ষিনখান এবং আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মৃত মাহাতাব উদ্দিন সরকার ওরফে গেদু চেয়ারম্যানের ছেলে  নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৯) এবং একই থানার মৃত আব্দুল খালেক সরকারের ছেলে মো. মোখলেছুর রহমান মুকুল (৬৭)।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী নামক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নদী পারাপারে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জুন-জুলাইয়ের দিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা ময়মনসিংহের ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বীর মুক্তিযুদ্ধা ইউনুছ আলীকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় এবং টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

র‌্যাব জানায়,  এ ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুস আলীর ছেলে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মো. মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন।  ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি গ্রহণ করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,  আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে তারা নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করত। এসময় পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তারা অন্যের রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড দিয়ে মোবাইলফোন ব্যবহার করতেন। তারা  দু’জন পারস্পারিক আত্মীয় বটে। কিন্তু তাদের দু’জনেরই পিতা ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল (ওই) এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন।