ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পরাণ’ ও ‘দিন দ্য ডে’ দিয়ে আশানুরূপ ব্যবসা করেছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতা। পরে ‘হাওয়া’ চালিয়েও লাভবান হয়। কিন্তু এর পরে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো চালিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাই শুক্রবার থেকে সিনেমার প্রদর্শক বন্ধ রাখছে মধুমিতা।
হলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ শুক্রবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শুক্রবার থেকে আপাতত মধুমিতা বন্ধ থাকছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ চালাতে চাই। এতে করে হয়তো লাভবান হওয়া সম্ভব।
১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল খেলাটি দেখিয়েছিল মধুমিতা। নওশাদ বলেন, সেবারই আমি প্রথম মধুমিতায় ওয়ার্ল্ড কাপ দেখিয়েছিলাম। মানুষের জায়গা দিতে পারিনি। এবার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা। চেষ্টা চালাচ্ছি, কাতার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচ মধুমিতায় প্রদর্শন করবো। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহে হয়তো প্রদর্শনের অনুমতিও পাওয়া যাবে।
গেল সপ্তাহেও ‘পরাণ’ চলছিল মধুমিতায়। কিন্তু কয়েক মাস আগের ছবি হওয়ায় দর্শক দেখছিল না। নওশাদ বলেন, গত সোমবার থেকে নাইট শো বন্ধ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচজন দর্শক ছিল। আসলে ‘হাওয়া’র পরে আর কোনো ছবিতে দর্শক পাইনি। মাসে সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। মাসের পর মাস লোকসানের ভার বইতে না পেরে আপাতত বন্ধ রাখছি।
‘সাময়িক বন্ধের মধ্যে মধুমিতায় উন্নত সাউন্ড সিস্টেম বসবে। ২৫ লাখ টাকা দিয়ে সেভেন ওয়ান সাউন্ড সিস্টেম এনেছি। এবার প্রসেসর বসবে। আগামীতে যাতে হলিউডের ছবি চালাতে পারি এ সে কারণে প্রযুক্তি বাড়ানো হচ্ছে। কারণ, দেশের সিনেমা দিয়ে ব্যবসা হচ্ছে না। মানুষ দেখছে না। ব্যবসায়িকভাবে শেষ হচ্ছি। মাল্টিপ্লেক্সে একযোগে নতুন নতুন হলিউড ছবি চলছে। তারা সেখান থেকে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। আমি যাবো কোথায়?’-বলছিলেন নওশাদ।