১৯৯১ থেকে ২০২২— মেয়েদের কোপা আমেরিকার ৩১ বছরের ইতিহাসে এপর্যন্ত নয়টি আসর বসল। একক আধিপত্য রেখে সবকটি ফাইনালে খেলেছে ব্রাজিল। রোববার নবম আসরের ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার অষ্টম শিরোপা ঘরে তুলেছে সেলেসাও মেয়েরা।
অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠা দুদলের লড়াই ছাপিয়ে গিয়েছিল শক্তিমত্তার বিচারে। এস্তাদিও আলফানসো ল্যাপেজ স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় মানসিকভাবে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়ান মেয়েরাই। যদিও ফল বলছে উল্টো কথা, পেনাল্টি থেকে দেবোরা ক্রিস্তিয়ানে ডে অলিভেইরার করা গোলে নিষ্পত্তি হয়েছে শিরোপার হিসেব-নিকেশ।
কলম্বিয়ান মেয়েদের ১-০ গোলে হারিয়ে টানা তিনবার শিরোপা বঞ্চিত করল ব্রাজিল। অন্যদিকে টানা চারবার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে পিয়া সানধাগের শিষ্যরা। কোপার ইতিহাসে পিয়া সানধাগ-ই প্রথম নারী কোচ, যিনি শিরোপা জিতলেন।
ফাইনালের চেনা প্রতিপক্ষ হলেও কিছুটা ধুঁকতে হয়েছে ব্রাজিলকে। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে গোলে শট, বল দখল এবং পাসিংয়ে চোখে-চোখ রেখে লড়াই চালিয়েছে কলম্বিয়া। ২৬ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেছিল স্বাগতিকরা, বিপরীতে ১৯ শটের চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ব্রাজিল। বল দখলে কলম্বিয়া (৪৩%) থেকে কিছুটা এগিয়ে ছিল ব্রাজিল (৫৭%)।
কোপার শেষ ৬ ম্যাচে ২০ গোল করেছে ব্রাজিল। শিরোপার লড়াইয়ে গোল পেতে যখন দল ধুঁকেছে, ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় সানধাগের দল। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার অলিভেইরার নিখুঁত শটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
ম্যাচে ১-০তে এগিয়ে থেকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালিয়েছে কোপার সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দলটি। প্রতিপক্ষ কলম্বিয়াও ম্যাচে ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর আরও ৫ মিনিট খেলা হয়, তাতেও হারের ফল পাল্টাতে পারেনি কলম্বিয়া। নবম আসরে অষ্টম শিরোপা জিতে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতেন ডুডা-অলিভেইরা।
মেয়েদের মহাদেশীয় আসরটিতে এপর্যন্ত নয়বারের মঞ্চায়নে মোট ১৪০ ম্যাচ হয়েছে। যার মধ্যে ব্রাজিল ৫০ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪৭টি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে হেরেছে দুটি ম্যাচ।
২০১৪ সালের আসরে ব্রাজিলের বিপক্ষে ড্র করেছিল কলম্বিয়া। নয় আসরে সবকটিতে খেলা ব্রাজিল একমাত্র ফাইনালটি হেরেছে আর্জেন্টিনার কাছে, ২০০৬ সালে। বাকি সব আসরেই মহাদেশের সেরা ব্রাজিলের মেয়েরা।