চলতি বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলেছেন অ্যালেক্স রোস। প্লে অফে তার দল জায়গা করে নিতে না পারায় অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার বাংলাদেশে এসেছেন বিপিএল মাতাতে। চলতি বিপিএলে তাকে দলে টেনেছে দুর্দান্ত ঢাকা।
শনিবার বিপিএল খেলতে ঢাকায় এসেছেন এই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার। রোববার দলের সঙ্গে করেছেন অনুশীলনও। এখন অপেক্ষা কেবল মাঠে নামার। তবে সেই তর সইছে না এই অজি ক্রিকেটারের। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন এমনটা।
‘খুবই রোমাঞ্চিত (বাংলাদেশে এসে)। সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে গেল। আমি টিভিতে বিপিএল দেখেছি কিছুটা। প্রথম ম্যাচটা ফ্লাইটে বসে দেখেছি। ছেলেরা খুব ভালো খেলেছে। আমি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত।’
সর্বশেষ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে ডাম্বুলা অরার হয়ে খেলেছেন রোস। বাংলাদেশের আর শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন প্রায় একই। তাই এলপিএল খেলার অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চান তিনি। অনুশীলনে নাকি দুই দেশের উইকেটের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বলেছেন, ‘কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পেতে নেটে লম্বা সময় ব্যাটিং করেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমি শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি গত বছর। ওইখানে অর্জন করা অভিজ্ঞতা এখানে কাজে দেবে। অনুশীলন উইকেটেও অনেক মিল। আমি দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শুনেছি, ম্যাচের উইকেট কিছুটা ভালো।’
চলতি বিগ ব্যাশে স্পিন সহায়ক উইকেটে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে হয়েছে রোসকে। সেখান থেকে নেয়া কিছু অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান রস। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার বিগ ব্যাশে কিছু ম্যাচে বাজে উইকেট পেয়েছি। কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে স্পিন করা বলের বিপক্ষে খেলে, উইকেটও মন্থর ছিল। তবে টিভিতে যা দেখলাম, তার সঙ্গে সব সময় মিলবে না। আমি শুধু এখানে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
সুইপ শট খেলা নিয়ে রস বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, সুইপ এখানে খুব কার্যকর হবে। আপনি ক্রিজ ছেড়ে খেলতে চাইবেন না খুব একটা। সুইপ ও রিভার্স সুইপ, এভাবে যদি কিছু বাউন্ডারি পাওয়া যায়, সে চেষ্টা করব। বিশেষ করে অল্প রানের ম্যাচে আপনি যদি স্পিনের বিপক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে ভালো। আশা করি, আমি সেটা করতে পারব।’
সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। দুপুর দেড়টায় মিরপুর-শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে লড়াই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে আসর শুরু করেছে তারা।