বিশ্বজুড়েই চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জয়জয়কার। কিন্তু নিজেদের আইপিএল ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশি কোনো লিগে খেলার ছাড়পত্র দেয় না বিসিসিআই। সামনে হয়ত চিত্রটা বদলাচ্ছে। ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টটি ছাড়াও আগামী মৌসুম থেকে সাউথ আফ্রিকায় ‘মিনি আইপিএল’ বসাতে চলেছে আইপিএল দলগুলো। যেখানেসহ সব বিদেশি লিগেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে দেয়ার কথা ভাবছে দেশটির বোর্ড, সেপ্টেম্বরে হতে পারে সিদ্ধান্ত।
দেশি ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দিয়ে ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত টি-টুয়েন্টি লিগ আইপিএল আয়োজন করছে ভারত। যেখানে খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের নামীদামী ক্রিকেটাররা। আইপিএলের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে, অনেক দেশ সেসময় সিরিজ আয়োজন না করে ক্রিকেটারদের আইপিএলে পাঠাতে বাধ্য হয়। এমনকি জাতীয় দলের সিরিজ চললেও তাতে দ্বিতীয় সারির দল খেলায় নিরুপায় হয়ে!
আইপিএলকে পাল্লা দিতে প্রায় সব দেশেই নিজেদের টি-টুয়েন্টি লিগ আয়োজন করছে। সেসব লিগে বিদেশি ক্রিকেটাররা অংশ নিলেও ভারতীয়রা খেলতে পারেন না ছাড়পত্র মেলেনা বলে। আগামী জানুয়ারিতে সাউথ আফ্রিকায় নতুন আরেক টি-টুয়েন্টি আসর বসতে চলেছে। একই সময় চলবে আরও দুই লিগ, বিপিএল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন লিগ। প্রয়োজন হবে অনেক ক্রিকেটারের। সাউথ আফ্রিকায় নিজেদের মিনি আইপিএলেও ক্রিকেটার পাঠাতে চায় ভারত। যে কারণে নতুন সিদ্ধান্তে বিদেশি সব লিগের জন্যই খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র দিতে পারে বিসিসিআই।
বছরজুড়েই বিগ ব্যাশ, দ্য হান্ড্রেড ছাড়াও চলে নানা প্রতিযোগিতা। সবখানেই তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই। আসরগুলোতে রোহিত, কোহলি বা বুমরাহদের নাও পাঠাতে পারে বোর্ডটি, জাতীয় দলের হয়ে এমনিতেই ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তাদের। নতুন করে চাপ বাড়াতে চায় না সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড।
বিপরীতে তরুণ ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে পাঠিয়ে আরও শানিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে চায় বিসিসিআই। একই সাথে এসব টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বিদেশি কন্ডিশনের অভিজ্ঞতা অর্জনও লক্ষ্য, সঙ্গে তরুণদের বাড়তি আয়ের পথও বাতলে দিতে চায় ভারত।