স্প্যানিশ লা লিগায় চিরচেনা ক্যাম্প ন্যুয়ে রিয়েল ভ্যালাডোলিডকে দাঁড়াতেই দেয়নি বার্সেলোনা। লেভান্ডোভস্কির জোড়া গোলে ভ্যালাডোলিডকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে। অপর ম্যাচে বেনজেমার জোড়া গোলে এস্পানিওলের বিপক্ষে ৩-১ গোলের সহজ জয় তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ফরাসি লিগ ওয়ানে জয়হীন রাত কেটেছে পিএসজি সমর্থকদের। মোনাকোর বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-১এর ড্র’য়ে তারকা ঠাসা পিএসজির মান বাঁচিয়েছে নেইমার।
নিজেদের মাঠে ভ্যালাডোলিডের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে ভ্যালাডোলিডের রক্ষণ কাঁপালেও গোল আসতে সময় নিচ্ছিল। তবে খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি পেদ্রি-রাফিনহা-লেভান্ডোভস্কিদের। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ভ্যালাডোলিডের জালে বল পাঠিয়ে সমর্থকদের গোল উৎসবের মুহূর্ত উপহার দেন লেভান্ডোভস্কি। এরপর ৪৩ মিনিটে পেদ্রির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বিরতিতে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও আক্রমণ অব্যাহত রাখে জাভির দল। ৬৪ মিনিটে ডেম্বেলের বাড়ানো বল জালে পাঠিয়ে জোড়া গোল আদায় করেন এ মৌসুমেই বার্সার জার্সি গায়ে তোলা পোলিশ তারকা। ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ২ মিনিটের মাথায় ভ্যালাডোলিডের জালে বল পাঠিয়ে শেষ বারের মতো সমর্থকদের উৎসবে মাতান রবার্তো।
লা লিগার আরেক ম্যাচে এস্পানিওলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ১২ মিনিটে রিয়ালকে লিড এনেদেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে লিড ধরে রেখে বিরতিতে যেতে পারেনি রিয়াল। ৪৩ মিনিটে জোসেলুর গোলে সমতায় ফিরে এস্পানিওল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচে লিড নিতে একাধিক বার চেষ্টা চালিয়েও গোল আসছিল না। অবশেষে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে রিয়ালকে ম্যাচে এগিয়ে নেন বেনজেমা। এরপর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১০ মিনিটে ফের এস্পানিওলের জালে বল পাঠিয়ে জোড়া গোল আদায় করে নেন বেনজেমা।
ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে অভিশপ্ত এক রাত কাটিয়েছে তারকা ঠাসা পিএসজি। মেসি-নেইমার-এমবাপেরা কোনো রকমে ড্র’করে মাঠ ছেড়েছে। ম্যাচের ৫ মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখে নেইমার। পিএসজির আক্রমণের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে জার্মান ফুটবলার কেভিন ভল্যান্ডের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় মোনাকো। এরপর সমতায় ফিরতে একাধিক বার চেষ্টা চালিয়েও সমতায় ফেরতে পারেনি গালতিয়েরের দল। কখনো গোলরক্ষক কখনো বাধ সেধেছে গোল পোস্ট।
বিরতি থেকে ফিরেও খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছিল না পিএসজি। আক্রমণ হলেও গোল করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। অবশেষে ৭০ মিনিটে মোনাকো রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় পিএসজি। সেখান থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। কঠিন এই লড়াইয়ে দু’দলের ৮ ফুটবলার দেখেছে হলুদ কার্ড। ম্যাচে জয় না পাওয়ায় হতাশা ফোটে ওঠেছে কোচ গালতিয়েরের কণ্ঠে।
‘মোনাকো প্রথম অর্ধ-ঘণ্টা দুর্দান্ত খেলেছে। রক্ষণভাগে আমাদের অনেক সমস্যায় ফেলেছে। আমরা প্রথমার্ধে অনেক কিছু মিস করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে, খেলায় বৈচিত্র্য এনেছি, আক্রমণের স্টাইলকে পুনর্গঠিত করেছি। তবে তারা বেশ শক্তিশালী দল। আমরা দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জয়ের সেই দ্বিতীয় গোলটি করতে পারিনি আমরা।’