‘আমি সব সময়ই বলি, হারের পর অনেক কিছুর দিকেই আঙুল তোলা যায়। কিন্তু এই কথাগুলো আমি জিতে এসেও অধিনায়ক হিসেবে বলতাম। জেতার পরও আমি সব সময় বলি, এটা ভুলে গেলে হবে না যে আমরা কী কী জায়গায় ভুল করেছি। আজকের দিনটা দারুণ একটা উদাহরণ—এত দিন যে আমরা ক্যাচ ফেলে, বাজে ফিল্ডিং করেও জিতেছি, একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই। আজকেই সেই দিনটা।’
৩০৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নয় বছর পর হেরেছে বাংলাদেশ। জঘন্য ফিল্ডিংকেই হারের জন্য দায়ী করে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ফিল্ডিং নিয়ে একটা কথাই বলি। অনেক ক্যাচ আমরা মিস করছি। কোনো না কোনো দিন তো এটা হারের কারণ হতোই। আমরা আগে দুই-তিনটা ক্যাচ ছেড়েও আগে ম্যাচ জিতে গিয়েছি। এমন উইকেটে আপনি যখন ৪টি (মূলত তিনটি) ক্যাচ ফেলবেন, তাহলে বেশি ম্যাচ জিতবেন না। আমাদের সুযোগ ছিল, সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’
শুধু ক্যাচ ধরতে না পারাই নয়, লাল-সবুজের দলের গ্রাউন্ড ফিল্ডিংটাও ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। সোজাসুজি আসা বলও ফিল্ডাররা ধরতে না পারার মতো হাস্যকয় ভুল একাধিকবার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ হতাশ টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।
‘অনেক সহজ রান দিয়েছি। এই মাঠে ২ রান হবে। কারণ, এক পাশটা বিশাল। এটা নিয়ে আমি বেজার নই। কিন্তু সহজ যে সুযোগগুলো সহজেই ডট বল হতে পারতো, সেগুলো থামাতে পারলে আমরা আরও চাপ তৈরি করতে পারতাম। এগুলো অবশ্যই কষ্ট দেয়।’
স্কোরবোর্ডে আরও বেশি রান ওঠানো দরকার ছিল বলেই তামিম মনে করেন। তার ভাষ্য, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় যে পরিস্থিতিতে আমরা ব্যাটিংয়ে ছিলাম, তাতে অবশ্যই ১৫-২০ রান বেশি করা উচিৎ ছিল। একপর্যায়ে স্কোর ১ উইকেটে ২৫০ ছিল।’
দুই বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদকে একাদশে না রেখে অর্ডারের গভীরতা বাড়াতে অফ স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নেয়া হয়।
একজন বাঁ হাতি স্পিনার রাখা উচিৎ ছিল কি না- এমন প্রশ্নও তামিমের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হয়। মলিন হাসি দিয়ে টাইগার অধিনায়ক রসিকতা করে বলেন, ‘এখন চিন্তা করলে মনে হয় অবশ্যই ভালো হতো।’খানিক পর আবার এও বললেন, ‘পরের ম্যাচের আগে ভাবতে হবে কম্বিনেশনটা কেমন হতে পারে।’