ডেভন কনওয়ের অসাধারণ ফিফটিতে বাংলাদেশের দেয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য খুব সহজেই টপকে গেছে নিউজিল্যান্ড। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৩ বল আগে খেলা শেষ করে স্বাগতিক দল। হ্যাগলি ওভালে টার্গেট ছোট হওয়ায় কোনো চাপই নিতে হয়নি কিউইদের।

কনওয়ে ৫১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ চার ও এক ছয়ে সাজান ইনিংস। গ্লেন ফিলিপস ৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন দুটি করে চার-ছক্কা। টানা দুই হারে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।
দলীয় ২৪ রানে ফিন অ্যালেনকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ১৮ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাটে। দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্ক পেরিয়ে গেলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। কনওয়ের সঙ্গে জুটিতে আসে ৮৫ রান। কিউই অধিনায়ক ২৯ বলে ৩০ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন।
আগে ১২০ বলের মধ্যে ৫০টি ডট করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শুরুর দিকে মন্থর উইকেটে মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করতে হয়েছে লিটন-আফিফদের। ২০ ওভারে মাত্র ১২ বাউন্ডারি আসে টাইগার ইনিংসে। ডট বলের ফাঁদে আটকে পায়নি লড়াই করার পুঁজি।
ক্রাইস্টচার্চে ৮ উইকেট হারিয়ে সাকিব আল হাসানের দল তোলে ১৩৭ রান। নুরুল হাসান সোহানের ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। টাইগার ইনিংসের দুটি ছক্কাই আসে তার ব্যাটে।
বাংলাদেশ মারতে পারে মাত্র ১০টি চার। এ জন্য অবশ্য আউটফিল্ডের দায়ও আছে কিছুটা! উইকেটের মতোই আউটফিল্ডও ছিল মন্থর।
সাব্বিরের জায়গায় ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। তবে খেলেন ২৯ বল। লিটন দাস ১৬ বলে ১৫, আফিফ হোসেন ২৬ বলে ২৪ রান করেন। অধিনায়ক সাকিব নামেন সাত নম্বরে, ১৬ বলে ১৬ রান করে ফেরেন টিম সাউদির বলে।
নিউজিল্যান্ডের চার বোলার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তারা- সাউদি, ইশ সোধি, মিচেল ব্রেসওয়েল ও ট্রেন্ট বোল্ট।