বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার কুয়েতে বাংলাদেশ খেলতে নামবে সবদিক থেকে এগিয়ে থাকা শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। ম্যাচ শুরুর আগেরদিন সেই কথাই বললেন লাল-সবুজদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা।
বুধবার বাফুফের ভিডিওবার্তায় জামাল বলেছেন, ‘সবমিলিয়ে ভালো হয়েছে। আমরা অনেকদিন একসাথে ছিলাম। কালকে অনেক বড় একটি ম্যাচ। গত ১৬-১৭ দিন আমরা অনেক অনুশীলন করেছি। সবমিলিয়ে ইতিবাচক অবস্থায় আছি আমরা। শেষের ফলাফল ইতিবাচক হওয়া উচিত মনে করি।’
‘আমরা জানি ফিলিস্তিন কেমন দল, এশিয়া কাপে ওরা অনেক ভালো খেলেছে। বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে। আমরা জানি তারা আমাদের গ্রুপের অন্যতম শক্তিশালী একটি দল। ম্যাচটি আমাদের বেশ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে, তা না হলে আমরা বড় সমস্যায় পড়ে যাব। ওরা বেশ শক্তিশালী, ওদের সেটপিস দেয়া যাবে না, ক্রসিং করতে দেয়া যাবে না, কারণ ৯৫ শতাংশ খেলোয়াড়ের উচ্চতা ছয় ফুটের উপরে। আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে, সেটাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।’
প্রধান কোচ ক্যাবরেরা বলেছেন, ‘প্রস্তুতি বেশ ইতিবাচক হয়েছে, সৌদির পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে। সময়ের ব্যাপার নিয়ে আমাদের কোনো অজুহাত নেই, যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সবকিছু ভালো আছে, আছে আত্মবিশ্বাস এবং কালকের ম্যাচের ইতিবাচক ফলাফলের জন্য দল প্রস্তুত রয়েছে।’
‘যদি গত এশিয়া কাপ দেখে থাকেন, ফিলিস্তিন বেশ শক্তিশালী দল এবং দুর্দান্ত অবস্থায় আছে। তারা বেশ ভালো খেলেছিল এবং বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে ১-০ গোলে হেরেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারের সাথে বেশ ইতিবাচক ফলাফল এনেছিল তারা। আশা করছি আগামীকাল বেশ কঠিন পরীক্ষা হবে।’
কুয়েতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়বে প্রথম লেগে। এরপর ২৬ মার্চ দ্বিতীয় লেগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হোম ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়ার দল।
২০১৩ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সেবার বাংলাদেশ একমাত্র গোলে হারে। গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছিল প্রথমার্ধ।
বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু কাপে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে জয় পায় ফিলিস্তিন। দুবছর পর একই আসরে আবারও দুই গোলে হারে বাংলাদেশ। শেষবার বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন লড়াই হয়েছিল ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের স্কোরলাইন ২-০ ছিল।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চোখ রাখলে অবশ্য দুদলের পার্থক্যটা স্পষ্ট বোঝা যায়। বাংলাদেশ ১৮৩তম স্থানে রয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনের অবস্থান ৯৭তম। তাই রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলার ছক কষে প্রতিপক্ষকে রুখে দেয়ার পরিকল্পনায় টিম টাইগার্স। পাল্টা আক্রমণে সফল হয়ে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের অভাবনীয় জয়ের বাসনাও রয়েছে!