Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

বাংলাদেশের আধিপত্যের ম্যাচে জয় অধরা

আগের ম্যাচে মালয়েশিয়ার জালে রীতিমতো হামলে পড়েছিল বাংলাদেশ। উৎসবে মেতে দিয়েছিল গুণে গুণে ছয় গোল। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখিয়েছে একচেটিয়া আধিপত্য। কিন্তু ফলটা একই আসেনি সাবিনা-মারিয়াদের। একবারও জালের দেখা মেলেনি। অবশ্য অতিথিরাও পায়নি গোল। জয় না পাওয়ার হতাশায় মাঠ ছাড়ে বাঘিনী দল।

বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা জিতেছিল ৬-০ ব্যবধানে।

৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজান ছোটন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা বাংলাদেশ ম্যাচের সাত থেকে আট মিনিটের ভেতর টানা ৪টি কর্নার আদায় করে। অষ্টম মিনিটে বক্সের খানিক বাইরে থেকে আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা আঁখি খাতুনের বাঁ-পায়ের শট দারুণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক আজরুইন বিনতি মারজান।

চার মিনিট বাদে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায়। মনিকা চাকমার পাসে বল পান মাসুরা খাতুন। গোলমুখে বাঁ-পায়ে ঠিকঠাক বল প্লেস করতে না পারায় সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয়।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে মনিকার পাসে বল পান সাবিনা। তার দূরপাল্লার শট মারজান কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান। কর্নার কিক থেকে আসা বলে আঁখি মাথা ছোঁয়ালে পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।

পরে ২১ মিনিটে কর্নার পায় লাল সবুজের দল। জটলার ভেতরে বাঁ-হাতে বল বিপদমুক্ত করার সময় বক্সে থাকা এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান অতিথি গোলরক্ষক। আহত হয়ে কাতরাতে থাকেন। একই সময়ে বক্সে মালয়েশিয়ার আরেক খেলোয়াড় চোট পেয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। মেডিকেল টিম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ায় প্রায় ৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।

খেলার ৩৮ মিনিটে সিরাতের শট থেকে আসা বলে সাবিনার কিক অতিথি গোলরক্ষক লাফিয়ে হাতের আঙুলের সাহায্যে পোস্টের উপরে ঠেলে দেন। ৪৩ মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্না বল নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেলেও তৎপর থাকা মারজান সামনে এগিয়ে এসে তা ধরে ফেলেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় ও শেষ মিনিটে স্বাগতিকদের কর্নার কিক মারজান প্রতিহত করার সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বিরতির বাঁশি বাজান।

গোটা প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পেলেও বাংলাদেশ কতটা একচেটিয়া প্রাধান্য দেখিয়েছে, তা বোঝাতে একটা তথ্যই যথেষ্ট, স্বাগতিক গোলরক্ষক রূপনা চাকমা এঅর্ধে বলের নাগাল পান কেবল দুইবার!

দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্নার পরিবর্তে স্ট্রাইকার ঋতুপর্ণা চাকমাকে মাঠে নামান কোচ ছোটন। প্রতিপক্ষ বক্সে অধিকাংশ সময় বাংলার মেয়েরা বল নিয়ে আক্রমণ হানলেও ফিনিশিংয়ে সুবিধা করতে পারছিল না।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে সানজিদা আক্তারের পরিবর্তে নামেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ৭৬ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে ঋতুর নেয়া শট মারজান ধরে ফেলেন। পরের মিনিটে হেনেরিত্তার শটে বল রূপনা হাতে নিতে সক্ষম হন।

পরে ৭৯ মিনিটে কর্নার কিক থেকে আসা বল জটলার ভেতরে পেয়ে গোল আদায়ে ব্যর্থ হয় সাবিনার দল। ৮৫ মিনিটে কৃষ্ণার শট মারজান সামনে শুয়ে পড়ে ঠেকালে স্বাগতিকরা আবারও হতাশায় ডোবে।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মনিকার শট পোস্টের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। চতুর্থ মিনিটে আঁখির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাতে আর বাংলাদেশের ডেড লক ভাঙা হয়নি।

Exit mobile version