উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সূচনা এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। অল্প সময়ে দুই ওপেনারের বিদায়ে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে পরে কার্যকরী জুটি গড়েন মার্নাস লাবুশেন। স্মিথও সাজঘরে ফিরলে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হাল ধরে রেখে দিন পার করেছেন লাবুশেন।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্টে মঙ্গলবার টসে হেরে ব্যাটে নামা অস্ট্রেলিয়ার প্রথমদিন শেষে সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৭ রান। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে লাবুশেন ১২০ বলে ৩ চারে ৪৪ ও ১৯ বলে এক চারে ৯ রানে ট্রাভিস হেড দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনে ৬৬ ওভারের বেশি বল মাঠে গড়ায়নি।
বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে থাকা ওয়ার্নারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামার সময় দৃষ্টি কাড়েন খাজা। আইসিসির বাধার মাঝে ইসরায়েলের অভিযানের শিকার ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থনে বার্তা ঠিকই দিয়েছেন। যেভাবে দিতে চেয়েছিলেন সেভাবে অবশ্য দিতে পারেননি। অজিদের টপঅর্ডার ব্যাটার জুতায় দুই কন্যা আইশা ও আইলার নাম লিখে মাঠে নেমে প্রতিবাদ জানান।
টেস্ট মেজাজে দারুণ ছন্দে ছিলেন ওয়ার্নার। ফিফটি পাওয়ার আগে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে। ৮৩ বলে ৩ চারে ৩৮ রান করে আঘা সালমানের বলে প্রথম স্লিপে বাবর আজমের তালুবন্দি হন।
খাজাও পাননি ফিফটি। হাসান আলীর বলে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা সালমানের হাতে ক্যাচ দেন, ১০১ বলে ৫ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলে যান।
তৃতীয় উইকেটে স্মিথের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন লাবুশেন। পার্থ টেস্টে অভিষেক হওয়া ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার আমের জামালের শিকার হন স্মিথ। অজিদের সাবেক অধিনায়ক ৭৫ বলে ২৬ রানে রিজওয়ানের গ্লাভসে ধরা পড়েন। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউতে সফরকারীরা সফল হয়।
খাতা খোলার আগে শাহিন শাহ আফ্রিদির বিমারের কবলে পড়েছিলেন ট্রাভিস হেড। ক্যাঙ্গারুদের অলরাউন্ডার মাথা সরিয়ে নিতে পারলেও বল তার কাঁধে আঘাত হানে। আম্পায়ার নো বলের সংকেত দেন। হেডের কাছে গিয়ে পরে ভুলের জন্য অনুতপ্ত হন পাকিস্তান পেসার।
দিনের বাকি সময়টা হেডকে নিয়ে পার করেন লাবুশেন। দিনের শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে হেড জীবন পান। সালমানের বলে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শান মাসুদ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন।