দেশের লোকালয়ে জঙ্গিরা স্থান পাচ্ছে না, তাই পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন।
বুধবার ১৪ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এটিইউ প্রধান বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা দেশের প্রধান ভূমিতে জায়গা পাচ্ছেনা, বিষয়টি পজিটিভ। প্রধান ভূমিতে জায়গা পাচ্ছেনা বলেই তারা পাহাড়ে অবস্থান করছে।
বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন: পাহাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে, যেখানে জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য নয়। ওই সকল বিস্তীর্ণ এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতা পাচ্ছে জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গে আরেকটা সমস্যা হল বাস্তুহারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী। সেখান থেকে কিছু গ্রুপ এসেছে আবার পাহাড়ি কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের স্বার্থের কারণে এই সংগঠনকে সহযোগিতা করছে।
সবকিছু মিলিয়ে পাহাড়ের জঙ্গিদের নিয়ে পরিস্থিতিটা ঘোলাটে। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাব কাজ করছে। এটিইউ’ও গোয়েন্দা তথ্য রাখছে। সেসব জঙ্গিরা আবার দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কোথায় করছে সেসব বিষয়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত থেকে যে সকল জঙ্গিদের ছিনতাই করা হয়েছে, সেটা শুরু থেকেই আমরা ফলো করছি। এ ধরনের অপরাধীরা সাধারণত দেশের ভেতরে খুব কম থাকে। তাই এদের ধরতে কিছুটা সময় লাগে, তবে আমরা কাজ করছি। আশা করছি তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের প্রধান নাথান বম সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আছে বিষয়টি পরিস্কার নয়। তবে তার বিষয়ে আমরা সবাই কাজ করছি।