
রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জায়গায় মার্কেট নির্মাণের প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা শহীদ মিনারের স্থানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। একইসাথে তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সোনাদীঘির মোড়ে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ একটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়। শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু ও ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবাল ও বিপুল সংখ্যক সংস্কৃতিকর্মী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবাল শহীদ মিনারের স্থানে একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই ‘সয়েল টেস্ট’ এর জন্য লোক পাঠানো হলে জনপ্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং মুক্তিযোদ্ধারা ইতিমধ্যে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
মীর মাসরুর জামান রনি পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মনে করি, শহীদ মিনারের স্থানে কোন অবস্থাতেই মার্কেট নির্মাণ সমীচিন হবে না। লাখো শহীদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা বা শহীদ মিনারকে অবরুদ্ধ করে মার্কেট নির্মাণ কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা জেলা পরিষদকে এ ধরনের আত্মঘাতী ও শহীদদের প্রতি অবমাননাকর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাই এবং এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাই। জনরোষ বৃদ্ধি পাবার আগেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে যুক্তিযুক্ত।

বিবৃতিদাতারা হলেন:
রামেন্দু মজুমদার, সুজেয় শ্যাম, আবেদ খান, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ, ড. মুহম্মদ সামাদ, প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, এডভোকেট আবদুন নূর দুলাল, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, প্রফেসর ড. এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, কেরামত মওলা, মো. আহ্কাম উল্লাহ্