সরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তাদের আইফোন ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন সরকার। এমন খবর প্রচারের পর টানা দ্বিতীয় দিনে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে। ফার্মের স্টক মার্কেট মূল্যায়ন গত দুই দিনে প্রায় ছয় শতাংশ কমেছে।
রোববার ১০ সেপ্টেম্বর বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, চীনে আইফোন নিষেধাজ্ঞার পর দু’দিনে ২০০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে অ্যাপল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তি জায়ান্টের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার চীন। গত বছর মোট মুনাফার ১৮ শতাংশ দেশটি থেকে এসেছে। অ্যাপলের বৃহত্তম সরবরাহকারী ফক্সকন চীনেই তাদের বেশিরভাগ পণ্য উৎপদন করে।
বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) জানায়, বেইজিং কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের অফিসে আইফোন আনতে বা কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে। পরের দিন, ব্লুমবার্গ নিউজ জানায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং সরকার-সমর্থিত সংস্থার কর্মীদের উপরও আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইতোমধ্যে কিছু সংস্থায় আইফোন নিষিদ্ধ ছিল। তবে সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞার ব্যাপ্তি বাড়ানো হচ্ছে। সেই নির্দেশগুলো কতটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে আইফোন ১৫ বাজারে আসার আগে এমন খবরে অ্যাপলের শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। চলতি মাসের ১২ তারিখ আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য কাজ করা কয়েকজন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদেরকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাপল ডিভাইস বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
চীন হল অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার এবং দেশটিতেই আইফোন তৈরি করা হয়। যদিও সম্প্রতি অ্যাপল ভারতে উৎপাদন বাড়িয়েছে। প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় চীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অ্যাপল তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধের জবাব দেয়নি।