‘নতুন অভিজ্ঞতার একটা কাজ করেছি, সেটা কি দেশবাসী দেখবে না?’

‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন অভিনেতা জাহিদ হাসানের

প্রায় তিন বছর ধরে দেশের সেন্সরের গ্যাঁড়াকলে আটকে আছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি। ‘চলচ্চিত্রটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে’ –এমন আশঙ্কায় মুক্তি আটকে দেয় সেন্সর বোর্ড।

বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে সেই সময়েই আপিল করে চলচ্চিত্রটির অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। আপিলের পর ছাড়পত্রের বিষয়ে দীর্ঘ দিনেও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সেন্সর বোর্ড।

সম্প্রতি ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি দিতে সরব হয়েছেন দেশের নির্মাতা, অভিনেতা ও কলাকুশলীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি দিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’ শীর্ষক নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের ডাকা সংবাদ সম্মেলনেও এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানান সকলে।

যেখানে দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা এবং ‘শনিবার বিকেল’ ছবির মুক্তি আটকে রাখার ঘটনায় ৫ দফা দাবিও জানিয়েছেন দেশের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সংবাদ সম্মেলনে ‘শনিবার বিকেল’ আটকে রাখা নিয়ে অনেকের মতো অভিনেতা জাহিদ হাসানও প্রতিবাদ জানান।

ফারুকী নির্মিত এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জাহিদ হাসান। সিনেমাটি নিয়ে আগে থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেতা। বরাবরই তিনি ‘শনিবার বিকেল’কে নতুন অভিজ্ঞতার সিনেমা বলে আসছেন। এদিনও নিজের অভিনীত সিনেমাটি আটকে রাখায় প্রশ্ন তুলেন তারকা অভিনেতা।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘শনিবার বিকেল’ ওয়ান টেকে শুট হয়েছে। ক্যামেরা অন হয়েছে, তারপর অফ- এর মাঝখানে সিনেমা শেষ! কী কষ্ট করে, কী আনন্দ নিয়ে আমরা সিনেমাটা করেছি। রাশিয়া যখন সিনেমাটা নিয়ে গেলাম, দর্শক সিনেমা দেখে আমাকে ধরে কেঁদেছে- তিশাকে দেখছে। হতে পারে আমি নিজে সামান্য একটা জিনিস করেছি, কিন্তু সেটা কি আমার ভাই-ব্রাদার, বাপ-মা, বোন তারা দেখবে না? আমার দেশবাসী দেখবে না? আমিতো বিদেশের জন্য কাজ করি না, আমি যে কাজটাই করি- সেটা দেশের মানুষের জন্য করি।

এই শিল্পী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,‘আমরা সবাই যদি একসঙ্গে হাত ধরি, যতো বড় বাধাই আসুক- এগুলো অভারকাম করা যাবে। আমরা একসাথে মুভ করলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

ফারুকীমোস্তফা সরয়ার ফারুকীরাশিয়ালিড বিনোদনশনিবার বিকেলসিনেমা