মোঃ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করে গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়েম মোহাম্মদ মুরাদ।
গত ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রিট দুটি সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) করে দেন।
মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। গত রোববার এই রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে বিচারপতি আহমেদ সোহেল বিষয়টি শুনাতে বিব্রত বোধ করেন। তখন বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। এরপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো: সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী আরেকটি রিট করেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামি ২৩ এপ্রিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞাপন