ডাকাতি ও ধর্ষণে মূল পরিকল্পনাকারীসহ ১০ ডাকাত আটক

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রতনসহ ১০ ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব। 

রোববার রাতে বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, আলোচিত ওই ঘটনার পরই র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে ওই বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী রতনসহ ১০ ডাকাতকে আটক করে র‌্যাব। তাদের রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, চাঞ্চল্যকর মামলাটি করার পর থেকে জেলা গােয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে। পরে বৃহস্পতিবার রাজা মিয়া নামের ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। রাজা ডাকাতির সময় চালককে সরিয়ে বাসটি চালাচ্ছিল।

গত ৫ আগস্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুমি খাতুন ভূক্তভোগী ওই নারীর ২২ ধারা জবানবন্দি গ্রহণ করেন।আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, আসামী রাজা মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এ সময় আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মিলেছে বলে জানান চিকিৎসক।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহেনা পারভীন বলেন, ভোক্তভোগী ওই নারীকে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম পরীক্ষা করেছে। কিছু সাইন পজিটিভ আছে। সাইন অব স্ট্রাগল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

গত বুধবার মধুপুর থানা এলাকায় বাসে ডাকাতি ও দল বেধে ধর্ষণের অভিযােগে বাসটির যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয় মামলাটি করেন। তখন মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসনকে মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে বহস্পতিবার রাতেই পুলিশের গােয়েন্দা শাখা (ডিবি)র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাে. হেলাল উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হােটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর তারা যাত্রীদের হাত, পা, চােখ বেঁধে তাদের কাছে থাকা টাকা, মুঠােফােন ও অলংকার লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ডাকাতরা ।

র‌্যাব