টপ বা মিডল অর্ডারের দিকে আঙুল তুলে লাভ নেই: তামিম

নবম উইকেট জুটিতে ইবাদত-শরিফুলের ৩৬ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৪। শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা ২৬ ও ২১ রানে অপরাজিত থাকা ইবাদতের ইনিংসই বলে দেয় উইকেটে রান তোলা খুব একটা কঠিন ছিল না। উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে না পরা ক্রিকেটে যা অপরাধের সামিল তাই করেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ম্যাচ শেষে তামিমের কণ্ঠেও সেই আক্ষেপ ঝরেছে।

‘আমার কাছে উইকেট আপ এন্ড ডাউন মনে হয়েছে। আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আমরা যদি ৩০০-৩২০ রান করতাম, তবে সেটা ভালো হত। বোলিংয়েও আমরা ২৫-৩০ রান কম দিতে পারলে ভালো হত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নরমালি এত দ্রুত রান তুলে না। তবে কালকের সকালের সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অ্যান্টিগা টেস্টের মতো এখানে খুব একটা সুইং নেই। কাজেই দ্রুত উইকেট তুলতে হবে। আমাদের আরও যত্ন নিয়ে খেলতে হবে।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বেশ দেখেশুনে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তামিম। বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের দিকে। নিজেও ছিলেন ফিফটির কাছে। ৬৭ বলে ৪৬ রানে থাকা অবস্থায় হঠাৎ গটে বিপত্তি। আলঝারি জোসেফের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটার কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তবে দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে সেটাকে অজুহাত হিসেবে দাড় করাতে চান না তামিম।

‘টেস্ট ক্রিকেটে এমন শুরু পেলে আমার ইনিংসগুলো সাধারণত বড় হয়। দুঃখজনক যে আজ বড় করতে পারিনি। বলটা হয়তো আমি ছেড়ে দিতে পারতাম। হয়তো বলটা যতটা ওঠার কথা ছিল না, ততটুকু উঠেছে। এ কারণে আমার ব্যাটের স্টিকারে লাগে। তবে আমি অজুহাত দেওয়ার মতো কেউ না। দলের অভিজ্ঞ সদস্য হিসেবে এমন শুরু পেলে আমার উচিত সেটাকে বড় করা।’

তামিম আউট হওয়ার পরও রান পেয়েছে বাকি ব্যাটাররা। তবে কেউই সেটা কে লম্বা করতে পারেনি। দিন শেষে যা বড় আফসোসের কারণ। জুটি গড়তে না পারা ভুগিয়েছে ইনিংস জুড়ে। তামিমের কথায় ওঠে এসেছে সেটিও।

‘জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুটি বড় হলেই, বড় ইনিংস খেলা সম্ভব। আজ আমরা ভালো শুরু পেয়েছি। কিন্তু রান বড় হয়নি। তবু একটা পর্যায়ে আমরা ১০৫ রানে ২ উইকেট ছিলাম। সেখান থেকে মিডল অর্ডারে ধস। এরপর লোয়ার অর্ডারে শরিফুল, ইবাদত কিছু রান করেছে। অবশ্যই লিটন ভালো খেলেছে। তবে আমাদের আজ ওই মঞ্চটা তৈরি ছিল ইনিংস বড় করার। টেস্টের প্রথম দিন ১০৫ রানে ২ উইকেট, এমন শুরু যে কোনো দিনই নিতে চাইবেন। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারিনি আমরা। ৩০০-৩২০ রান করা গেলে এই উইকেটে সেটা ভালো রান হতো।’

বেশ ক ম্যাচ ধরেই টানা ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। উইকেটে থিতু হলেও খেলতে পারছেন না লম্বা ইনিংস। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে দায়িত্ব নিতে পারছে না মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডারও। ফলাফল ম্যাচ হারতে হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবেই। তবে সেই ধায়ে টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার কিংবা নির্দিষ্ট কারও দিকে আঙুল তুলতে চান না তামিম।

‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, ম্যাচের এমন ভালো অবস্থা থেকে এই অবস্থায় চলে এসেছি। মূলত ব্যাপারটা হচ্ছে, হয় প্রথমে হচ্ছে না, না হলে মাঝে হচ্ছে না। এটিই সমস্যা। আমি এমন কেউ নই যে বলব, অমুকের কারণে হচ্ছে না বা তমুকের কারণে হচ্ছে না। ব্যাটিং বিভাগ হিসেবেই হচ্ছে না। আমি ভালো করি না করি, ছয় নম্বর ভালো করুক বা না করুক, টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের দিকে আঙুল তুলে লাভ নেই।’

ইবাদততামিমলিটনলিড স্পোর্টসশরিফুলসাকিব