অধিনায়ক হিসেবে তো বটেই, ব্যাট হাতেও বিশ্বকাপে দারুণ সফল জস বাটলার। ৬ ম্যাচে ৪৫ গড়ে ১৪৪.২৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২২৫ রান। আসর সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকার চারে আছেন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী কাপ্তান।
উইকেটরক্ষক হিসেবেও বাটলার সবার চেয়ে এগিয়ে। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে করেছেন আসর সর্বাধিক ৯ ডিসমিসাল। নেদারল্যান্ডসের স্কট এডওয়ার্ডসের ডিসমিসাল সংখ্যাটাও ৯, তিনি অবশ্য দুটি ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
সাফল্য যেন অবাধে এসেছে। পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সেসবের জন্য বাটলার হেড কোচ ম্যাথু মটকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। এবছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ ছিলেন মট। এবার ইংল্যান্ডের ছেলেদের দলের কোচ হয়ে জিতলেন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।
‘তিনি সত্যিই ভালোভাবে দলকে তৈরি করেছেন। কোচিং স্টাফদের নিয়ে ভালো নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলোয়াড়দের যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং আমাদের সবাইকে নিজের উপর আস্থা রাখতে দিয়েছেন।’
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ায় ভীষণ গর্বিত ৩২ বর্ষী বাটলার। তার ভাষ্যে, ‘একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল, যেখানে কিছু পরিবর্তন এসেছিল। আমরা পুরস্কার নিচ্ছি। দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট কাটালাম।’
‘অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে আমরা পাকিস্তানে গিয়েছিলাম, যেটি দলের জন্য মূল্যবান সময় ছিল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সেখান থেকে আমরা পরের ম্যাচগুলোয় জিতে নিজেদের যে রূপ দেখিয়েছি, তা আশ্চর্যজনক।’
ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে অবদান রাখেন ৪৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকা বেন স্টোকস। তার দক্ষতায় মুগ্ধ বাটলারও।
‘তিনি সত্যিকার অর্থেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রকৃত প্রতিযোগী। তিনি যা কিছু করেন, সেটার জন্য অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তিনি নিখুঁতভাবে সব করেছেন।’