‘এই লেভেলে এসে কিছু বলার থাকে না’

সৌম্যর ব্যাটিং নিয়ে নাসির

চট্টগ্রাম থেকে: সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার রুবেল হোসেনের স্টাম্প তাক করা বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না সৌম্য সরকার। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ। ১৬, ৬, ৪-এর পর গোল্ডেন ডাক। ঢাকা ডমিনেটরস পাওয়ার প্লে’তে আরও দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকেই পড়ে। টেনেটুনে পাওয়া ১২৮ রানের পুঁজি যথেষ্ট ছিল না বিপিএলে উড়তে থাকে সিলেটকে থামাতে।

শুরুর ব্যাটারদের ব্যর্থতা ডোবাচ্ছে ঢাকাকে। তবে দলটির অধিনায়ক নাসির হোসেন রান করছেন ধারাবাহিকভাবে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে নেমে চার ম্যাচেই করেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রান। আজকের ম্যাচে খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস।

সৌম্য জাতীয় দলের বাইরে। নাসির অনেক আগে থেকেই। জাতীয় দলে ফেরার বড় মঞ্চ বিপিএল। অথচ এখানেও ধুঁকছেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য।

ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন নাসির। দুঃসময়ে অধিনায়ক আছেন সৌম্যর পাশেই। তবে ফেরার রাস্তা সৌম্যর নিজেকেই বের করতে হবে, বলছেন নাসির।

‘সবসময়ই তো উৎসাহিত করি। দল থেকে সবাই সবাইকে সাপোর্ট করে। এই লেভেলে এসে কিছু বলার থাকে না, এত বছর খেলছেন আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, আসলে ও-ই(সৌম্য) ভালো জানে ওখান থেকে কীভাবে ফিরে আসা যাবে।’

‘ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, আমাদের খুব অল্প সময়ে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল, ওইটা একটা। আর মুশফিকের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে এলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতো।’

সিলেটের ইনিংসে ১২তম ওভারের শুরুতে আরাফাত সানির হাওয়ায় ভাসানো ডেলিভারি কিছুটা এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বল মিস করায় প্যাডে লাগলে আবেদন করেন সানি। আম্পায়ার সাড়া না দিলে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন। রিপ্লেতে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে ছিল ইমপ্যাক্ট। বল স্টাম্প মিস করতো কি-না স্পষ্ট বোঝা না গেলে ব্যাটারের পক্ষেই থাকে সিদ্ধান্ত। যদিও বল শেষ পর্যন্ত স্টাম্প মিস করতো কি-না প্রযুক্তি না থাকায় তা বোঝার উপায় ছিল না। তবে বাঁহাতি বোলার হওয়ায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার।

এডিআরএস থেকে আসা সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে নাসির বললেন, ‘বড় স্ক্রিনে দেখে আমার মনে হয়েছিল আউট। কিন্তু আম্পায়ার সেটা নট আউট দিয়েছে, আমি জানি না সেটা কী নিয়মে নট আউট দিয়েছে। কিন্তু আমরা আম্পায়ারদের সম্মান করি, তাদের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিবো।’

ঢাকা ডমিনেটর্সনাসিরবিপিএল-২০২৩বিসিবিলিড স্পোর্টসসিলেট স্ট্রাইকার্সসৌম্য