কানাডার স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা একাডেমীর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ইকবাল হাসানের মৃত্যুতে অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে এক বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে মেম্বার অফ প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট অফ অন্টারিও’এর ডলি বেগম বলেন, গত সপ্তাহে আমরা একজন মহান সাহিত্যিক ইকবাল হাসানকে হারালাম। আজ আইনসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি সম্মানিত ।
সাহিত্যে তাঁর অবদান ভবিষ্যত প্রজন্মের লেখকদের অনুপ্রাণিত করবে এবং বাঙালি সাহিত্যিক সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে তিনি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এছাড়াও তিনি পার্লামেন্টে লেখকের কর্মজীবনের প্রশংসা করে বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলা একাডেমী কর্তৃক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কারের কথা তুলে ধরেন।
সত্তর দশকের কবি ইকবাল হাসান ১৯৫২ সালের ৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত ছিলেন এবং পূর্বাণী’র সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
কয়েক দশক ধরে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছিলেন কবি ইকবাল হাসান। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘অসামান্য ব্যবধান’, জোছনার চিত্রকলা, ‘কপাটবিহীন ঘর’, ‘দূর কোন নক্ষত্রের দিকে’, ‘দূরের মানুষ কাছের মানুষ’, ‘আলো আঁধারে কয়েকটি সোনালী মাছ’, ‘চোখ ভেসে যায় জলে’, ‘সুখলালের স্বপ্ন ও তৃতীয় চরিত্র’, ও ‘কিছু কথা কথার ভেতরে’।
উল্লেখ্য কানাডার স্থানীয় সময় ১২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার টরন্টোর মাইক্যাল গ্যারন হাসপাতালে কবি ইকবাল হাসান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। কবি ইকবাল হাসান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি স্ত্রী এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।
বিজ্ঞাপন