স্পেনে মেয়েদের ফুটবলে রয়েছে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য

ব্যালন ডি’অর জয়ী পুতেল্লাসের অভিযোগ

‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কথাগুলো শোনার দাবি জানিয়ে আসছি। বহু দশক ধরে অতি মাত্রায় মেয়েদের ফুটবলে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য রয়েছে। আমাদের দাবি শোনানোর জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছিল।’

স্পেনের ফুটবল অঙ্গনে মেয়ে ফুটবলারদের বৈষম্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অ্যালেক্সিয়া পুতেল্লাস। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডের পরে খেলোয়াড়দের অনড় অবস্থান নিতে বাধ্য করেছে বলে জানান ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার।

রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতির পদ থেকে আগেই পদত্যাগ করেছেন রুবিয়ালেস। বিশ্বজয়ী কোচ জর্জ ভিলদাকে করা হয় বরখাস্ত। তবে স্পেনের খেলোয়াড়রা গত সপ্তাহে বলেছিল, ফেডারেশনে আমূল পরিবর্তনগুলো কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে প্রস্তুত নন।

নতুন কোচ হিসেবে মন্টসে টোমে চলতি সপ্তাহে উয়েফা নেশনস লিগের খেলাগুলোর জন্য বিশ্বকাপজয়ী দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়দের স্কোয়াডে ডেকেছিলেন। আসরটি ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্টে ইউরোপের বাছাইপর্ব হিসেবেও গণ্য হবে।

ফুটবলার এবং ফেডারেশনের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় স্পেনের সরকার। দুই ফুটবলার বাদে বাকিরা শুক্রবার সুইডেন এবং মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ক্যাম্পে যোগ দেন।

পুতেল্লাস আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রহণযোগ্য ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। যখন রুবিয়ালেস প্রাথমিকভাবে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, তখন আমরা চূড়ান্ত অবস্থান নেই।’

আমাদের সতীর্থ জেনিফার হারমোসোকে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল, ‘সেজন্য আমরা বৈষম্যের পথে চলতে পারি না। সেটাই আমরা বলতে চেয়েছিলাম, জিরো টলারেন্সে ছিলাম। তার জন্য একটি নজির স্থাপন করতে চেয়েছিলাম, যাতে পৃথিবীতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’

‘যখন স্কোয়াড ঘোষণা করা হয় তখন আমরা রেগে গিয়েছিলাম। ভোর ৫টা পর্যন্ত আমাদের একটা বৈঠক ছিল। এটার দরকার ছিল। কিন্তু ভুলে যাবেন না, আমরা পেশাদার। গত এক সপ্তাহ দিনে চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। আমরা ফুটবলার হয়েই থাকতে চাই। কিন্তু শুধু ফুটবলার হয়ে থাকাটা সম্ভব নয়। আমরা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বৈঠকে গিয়েছিলাম। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য নয়।’

বিজ্ঞাপন

আরএফইএফনেশনস লিগপুতেল্লাসলিড স্পোর্টসস্পেনহারমোসো