অনলাইন বেটিং সাইট বেটউইনারের সাথে জুড়ে গেছে সাকিব আল হাসানের নাম। সাইটটির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের দূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন টাইগার তারকা। ব্যাপারটি নিয়ে কঠোর অবস্থানে বিসিবি। চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবের সাথে ‘বোর্ডের কোনো সম্পর্কই থাকবে না’, জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাজমুল হাসান। তার আগে কয়েকজন বোর্ড পরিচালকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান। সেখানে সাকিবের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এসেছে।
‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেই কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যার সাথে বেটিংয়ের কোনো সম্পর্ক আছে, এরকম কারোর সাথে সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’ সাকিবের চুক্তি নিয়ে বিসিবি সভাপতির সাফ জবাব।
বেটউইনার-ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে গতকাল রাতে কথা হয়েছে নাজমুল হাসানের। জানালেন, ‘তার সাথে একটা কথাই হয়েছে, সেটা হল চিঠির উত্তর দিচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম কালকে রাতেই পেয়ে যাব। কিন্তু আজ সকালে জানলাম এখনো আসেনি। তাই আমরা অপেক্ষা করছি।’
‘এখানে কনভিন্স করার সুযোগ নাই। আমাদের কাছে কোনো সন্দেহ নেই এটা সারোগেট ব্র্যান্ড। ওরা একই, একেক নামে একেকটা দিচ্ছে। বেসিক্যালি একটা বেটিং কোম্পানি। যারা গ্যাম্বেলিং, বেটিং, ক্যাসিনো নিয়ে জড়িত।’
‘সাকিবের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোনোকিছু চিন্তার সুযোগ নেই। বিসিবির অবস্থান প্রথম থেকে যা ছিল, এখনো তাই আছে। বিসিবিতে আমি যখন প্রথম আসি, তখনই বলেছিলাম এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। বিসিবি কখনোই এ ধরনের কোনো বিষয়কে গ্রহণ করবে না। যে যেভাবেই এটাকে ব্যাখ্যা করুক বা না করুক, এটার কোনো সুযোগই নাই। যার জন্য তখন আশরাফুলের মতো খেলোয়াড়কে আমাদের বাদ দিতে হয়েছিল।’
‘বিষয়টি এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমরা সাকিবকে চিঠি দিয়েছি। আজকের মধ্যে উত্তর পাওয়ার কথা। কাল দেয়ার কথা ছিল, আজকের মধ্যে দেবে শুনেছি। আমরা অপেক্ষা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো দলে সে থাকবে নাকি থাকবে না। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত লিখিত তার কাছ থেকে কিছু না পাবো এবং তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয়, ততক্ষণ ওকে দলে নেয়ার সুযোগ নেই।’
প্রশ্নোত্তর জুড়ে সাকিবের ওই চুক্তি নিয়ে বিসিবি কঠোর অবস্থানের কথাই ক্রমাগত বলে গেছেন নাজমুল হাসান। স্পষ্ট করে বলেছেন এক চুল ছাড় না দেয়ার ভাষায়। দলে থাকতে চাইলে সাকিবকে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে বলেছেন।
‘কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা থাকা সম্ভব না। সম্পূর্ণভাবে ওইখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় আমাদের দলেই থাকবে না। অধিনায়ক থাকা পরের ব্যাপার। দলে থাকার সুযোগই নাই। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই। সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেয়া এবং এ ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট অবস্থানে আছি।’