ব্যর্থ হয়েছেন লোকেশ রাহুল, জ্বলে উঠতে পারেননি সূর্যকুমার যাদবও। বিরাট কোহলির চার হাজারের মাইলফলক ছোঁয়াও খানিকটা রঙ হারাচ্ছিল। ইংলিশদের শেষ ৫ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার তাণ্ডব অবশ্য ৬ উইকেট হারানো ভারতকে ১৬৮ পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
অ্যাডিলেডে টস হেরে জশ বাটলারের বোলিং পরিকল্পনায় আটকা পড়ে ভারত। পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রান তুলতে পারলেও রাহুলকে হারিয়ে চাপে পড়ে। তিনে নামা কোহলি ফিফটি করে ফিরলে বাকি পথ একা টানেন পান্ডিয়া। ২০১০ ও ’১৬ সালের পর তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠতে ইংলিশদের প্রয়োজন ১৬৯ রান।
বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার সমীকরণের শুরুটা ভালো করতে পারেননি রাহুল-রোহিত। বড় ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রশ্নবিদ্ধ রাহুল এদিনও ব্যর্থ। ফেরার আগে ৫ বলে করে যান ৫ রান। নামের সুবিচার করতে পারেননি রোহিত শর্মাও। মার্ক উডের বদলি পেসার জর্ডানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেছেন, একবার জীবন পেয়েও আনতে পারেন সবে ২৮ বলে ২৭ রান।
চতুর্থ উইকেটে সূর্যকুমারকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়েছেন আদিল রশিদ। লেগ স্পিনে দুর্বল নতুন ৩৬০ ডিগ্রিকে কাবু করে সফল হয়েছে বাটলারের দল। বারোতম ওভারে মঈনকে ক্যাচ দেয়ার আগে টি-টুয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটার যোগ করে যান ১৪ রান। পরের জুটিতে পান্ডিয়াকে নিয়ে ৬১ রান আনেন কোহলি।
ওভারপ্রতি প্রায় ১২ রান এনে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া এই জুটি। দলীয় ১৩৬ রানে ফিফটি করে ফেরেন কোহলি। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ছুঁয়েছেন চার হাজার রানের মাইলফলক। সেমির লড়াইয়ে যদিও বড় স্কোর এনে দিতে পারেনি তার ব্যাট। ফেরার আগে ৪০ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় খেলেছেন ৫০ রানের ইনিংস।
শেষ ৫ ওভারে ব্যাট করতে আসা পান্ডিয়া পূরণ করেছেন টপ অর্ডারের ঘাটতি। মারমুখী ডানহাতি ব্যাটার শেষ বলে হিট উইকেট আউট হওয়ার আগে ভারতের দিন ম্লান হতে দেননি। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় করেছেন দুর্দান্ত ফিফটি। সংগ্রহ দেড়শ ছাড়িয়ে দিতে ৩৩ বলে খেলেছেন ৬৩ রানের ক্যামিও। ব্যাট চালিয়েছেন দুইশ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইকে রেটে। ইংলিশ বোলারদের শেষ ৫ ওভারে ৬৩ রান তুলে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য আনেন পান্ডিয়া-পান্ট। ৬ বলে ৪ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন পান্ট।
ইংলিশদের দুর্দান্ত শুরু এনে দেয়া ক্রিস ওকস ৩ ওভারে ২৪ রান খরচ করেছেন, ফিরিয়েছেন রাহুলকে। ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে যাদবকে ফিরিয়েছেন রশিদ। ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন জর্ডান। ইংলিশদের হয়ে খরুচে ছিলেন স্যাম কারেনও। ৪ ওভারে তিনি ৪২ রান দিয়েও পাননি উইকেটের দেখা।