মুক্তি পেল ‘সাঁতাও’, দর্শক বাড়লে হল বাড়বে

নামী তারকা না থাকায় শুরুতে কোন সিনেমা হল নিতে চাচ্ছিল না ‘সাঁতাও’। পরিবেশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো লাভ হচ্ছিল না। তবে থেমে যাননি এর পরিচালক খন্দকার সুমন।

গণঅর্থায়নে নির্মিত এ ছবিটি শেষ পর্যন্ত শুক্রবার দেশের পাঁচ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।

ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখা, যমুনা ব্লকবাস্টার, রংপুরের শাপলা, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘সাঁতাও’; জানিয়েছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন। তিনি বলেন, দর্শক বাড়লে আগামী সপ্তাহে হলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে পুরষ্কার পায় ‘সাঁতাও’। এমনকি ছবিটি দেখতে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে। নির্মাতা খন্দকার সুমন আত্মবিশ্বাসের সুরে জানান, তার ছবিটি দর্শক উপভোগ করবেন।

গল্পে দেখা যায়, কৃষক ফজলু বিয়ের পর বুঝতে পারে নতুন সংসারে স্ত্রী পুতুল একাকিত্ব অনুভব করছে। তার একাকিত্ব দূর করতে ফজলু একটি গাভি কেনে। সংসারে নতুন সঙ্গী পেয়ে পুতুল বাবার বাড়ি ছেড়ে আসার কষ্টগুলো ভুলতে শুরু করে।

নদীর উজানে একের পর এক বাঁধের কারণে ভাটি অঞ্চল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশে ফজলুর মতো কৃষকদের কৃষিকাজে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ছবির অন্যতম প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক।

‘সাঁতাও’ মানে টানা সাত দিন। লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার সময়টাকে বোঝাতে দেশের উত্তরাঞ্চলে ‘সাঁতাও’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। সাঁতাওয়ের সময়ে কৃষিনির্ভর সমাজে কেমন প্রভাব ফেলে, খন্দকার সুমন তাঁর ছবিতে সেটা দেখিয়েছেন। রংপুর অঞ্চল ঘিরে গড়ে উঠেছে ছবির গল্প।

খন্দকার সুমনলিড বিনোদনসাঁতাও