আমাদের আশেপাশে অনেক ধরণের জীবাণু ঘুরে বেড়ায় যা থেকে আমাদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শুধু পৃথিবীতেই নয়, পৃথিবীর বাইরেও আছে। মহাকাশচারীদের মহাকাশে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে বোঝাপড়া করার জন্য বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবুও মহাকাশে গিয়ে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
মহাজাগতিক বিকিরণ রয়েছে, যা শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং তার উপরে মাইক্রোগ্র্যাভিটি যা শরীর মধ্যস্থ তরল এবং রক্তচাপের উপর হস্তক্ষেপ করে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো এবং বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও সমাজ থেকে দীর্ঘ দিনের বিচ্ছেদ মন দুর্বল করে দেয়। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় ব্যাপক ভাবে।
স্পেস হেলথ রিসার্চ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন মহাকাশে অবস্থান করলে শরীরের প্রায় প্রতিটি তন্ত্র, শরীরের কার্ডিয়োভাসকুলার এবং মেটাবলিক সিস্টেম থেকে শুরু করে ইমিউন সিস্টেমের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। মহাকাশে অবস্থানের সবচেয়ে বড় সমস্যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহাকাশচারীরা মহাকাশে অনেক ক্ষেত্রেই ভাইরাল সংক্রমণের সংস্পর্শে আসেন। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, সেই ভাইরাসগুলো তারা পৃথিবী থেকেই নিজের শরীরে বহন করে নিয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রেই মহাকাশচারীদের ত্বকে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ শুরু হয়।
মহাকাশে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে সেই ভাইরাসগুলোর আবার সক্রিয় হতে খুব বেশি সময় লাগে না। তবে ভাল বিষয় হলো, পৃথিবীতে ফিরে আসার পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
বিজ্ঞাপন