৫ বছর পর সৃজিতের ছবির নায়িকা জয়া

৫ বছর আগে সর্বশেষ কলকাতার তারকা নির্মাতা সৃজিত মুখার্জীর ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এরপর ১০টির বেশী ছবি নির্মাণ করেছেন সৃজিত, অন্যদিকে জয়াও কলকাতার বিভিন্ন নির্মাতার পরিচালনায় প্রায় ডজন খানেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সৃজিত-জয়াকে আর পাওয়া যায়নি একসঙ্গে!

অবশেষে সৃজিতের আসন্ন ছবি ‘দশম অবতার’ এ চূড়ান্ত হলেন জয়া আহসান। এরমধ্য দিয়ে পাঁচ বছর পর আবারও জুটি বাঁধতে চলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং জয়া আহসান। এই ছবিতে নায়িকার চরিত্রে দেখা দেবেন দেবী খ্যাত বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীকে।

তবে ছবিতে আছে দাপুটে সব অভিনেতা। জয়া আহসান ছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্তকে! নির্মাতার বরাতে কলকাতার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই গুণী চার অভিনেতার সাথে চূড়ান্ত কথাবার্তাও হয়ে গেছে। শিগগির হবে শুটিং।

এরআগে সৃজিতের ‘দশম অবতার’ এ নায়িকার জন্য শুভশ্রী গাঙ্গুলীর সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়েছিলো। এই ছবিতে শুভশ্রীকেই নিতে চেয়েছিলেন রাজ। কিন্তু অভিনেত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর আসায় ছবি থেকে সরে দাঁড়ান। তার পরেই শুরু নায়িকার জন্য দ্বিতীয় বার খোঁজ। অনেকের সঙ্গে কথাও বলা হয়। কিন্তু শেষমেশ একমাত্র জয়াকেই চিত্রনাট্য পাঠানো হয়।

জয়াকে বেছে নেওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানিয়ছেন সৃজিত। তার ভাষ্য,‘‘প্রথমত, শুটে সময় দিতে পারছেন জয়া। ডেট অ্যাভেইলেবল আছে। দ্বিতীয়ত, অভিনয় দক্ষতা। তৃতীয়ত, শেষ বছরের পারফর্মেন্স। আমরা যদি ওর কেরিয়ারগ্রাফ দেখি, ‘রবিবার’ হোক বা ‘বিনিসুতোয়’, বা ‘অর্ধাঙ্গিনী’ তার কাজ অসম্ভব প্রশংসিত হয়েছে। চতুর্থত, অতীতে সফল কোল্যাবোরেশনের ইতিহাস আছে। ‘রাজকাহিনি’ হোক এবং ‘এক যে ছিল রাজা’। এসব বিচার করেই জয়াকে বেছে নেওয়া।’’

কিন্তু জয়া কেন প্রথম পছন্দ ছিলেন না সৃজিতের? এমন প্রশ্নে সংবাদমাধ্যমকে সৃজিত বলেন, ‘‘শুভশ্রী ছাড়া এই চরিত্রটি আর কেউ করতে পারত না, তা নয়। শুভশ্রীর সঙ্গে এর আগে একবারও কাজ করা হয়নি আমার। ‘পরিণীতা’ বা ‘ইন্দুবালা’-এ অপূর্ব অভিনয় করেছে শুভশ্রী। তাই একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম।”

কিন্তু অতীতে কাজ করার সময়ে জয়ার সঙ্গে সৃজিতের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন রটেছিল। সেই কারণেই কি জয়াকে প্রথমে চরিত্রের জন্য ভাবেননি সৃজিত? প্রশ্নের উত্তরে সৃজিত বলেন, ‘‘না না এসব মাথাতেই ছিল না। আর এবার কাজ করার পরেও হয়তো আমাদের নিয়ে গুজব শুনতে হবে। অক্যুপেশনাল হ্যাজার্ড হিসেবেই গ্রহণ করতে হয়। এতে কিছু করার নেই। গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। না হলে এই পেশায় টিকে থাকা যাবে না।’’

বিজ্ঞাপন

অনির্বাণ ভট্টাচার্যঅভিনয়জয়াজয়া আহসানদশম অবতারপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়যিশু সেনগুপ্তলিড বিনোদনসিনেমাসৃজিত