বিদায়কালে যা বললেন রামোস

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী সার্জিও রামোস। স্পেনের নতুন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে রামোসের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না, এমন কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ৩৬ বর্ষী সেন্টার ব্যাক।

বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) ডিফেন্ডার রামোস।

স্পেনের জার্সি গায়ে সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে মাঠে নেমেছিলেন রামোস। চোটের কারণে ২০২০ সালের ইউরো থেকে বাদ পড়ার পর জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন এ ডিফেন্ডার। ২০১০ সালে স্পেনের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রাখলেও কাতার বিশ্বকাপে দলে জায়গা হয়নি রামোসের।

জাতীয় দলের কোচ ফুয়েন্তে তরুণদের নিয়েই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছেন। কোচের পরিকল্পনায় আর থাকছেন না জেনেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

‘সময় এসেছে, স্পেন জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। জাতীয় দলের প্রধান কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, যেভাবেই সামর্থ্য দেখাই বা ক্যারিয়ার চালিয়ে যাই না কেন, আমি তার পরিকল্পনার মধ্যে নেই এবং থাকব না। আমি আশা করেছিলান শেষটা আরও মধুর হবে।’

বয়সটা ৩৬ হলেও এই বয়সেও দাপিয়ে ফুটবল খেলছেন মদ্রিচ, মেসি ও পেপের মতো খেলোয়াড়রা। কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই রামোস বলেন বয়সট শুধুই একটি সংখ্যা। নিজের বিদায়টা সুখকর হচ্ছে না বলেও মনে করছেন তিনি।

‘আমি সততার সঙ্গে বিশ্বাস করি জাতীয় দলের হয়ে খেলে অবসরটা আমার প্রাপ্য ছিল। আসলে বয়সটা কারও গুণ বা ত্রুটি নয়। এটি কেবলমাত্র একটি সংখ্যা পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের জন্য। আমি মদ্রিচ, মেসি এবং পেপের মতো খেলোয়াড়দের প্রশংসা করি এবং ঈর্ষাও করি। ফুটবলের ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, যোগ্যতা ও সুবিচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ক্ষেত্রে এমন হবে না।’

রামোস ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও স্পেনের হয়ে ২০০৮ ও ২০১২ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে পা রাখা রামোস স্পেনের জার্সিতে রেকর্ড ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন। অবসরের যাওয়ার আগে এ ডিফেন্ডার জাতীয় দলের হয়ে ২৩টি গোল করেছেন।

বিজ্ঞাপন

পিএসজিরামোসলিড স্পোর্টসস্পেন