জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জেরার্ড পিকেকে নিয়ে ২০১০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলেন সার্জিও রামোস। পরে টানা দুটি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে স্পেন। কাতার বিশ্বকাপে কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য তরুণদের নিয়েই বাজি ধরলেন।
কাতারে শিরোপা মিশনে যাওয়ার জন্য ২৬ জনের দল দিয়েছেন এনরিকে। তারুণ্যনির্ভর দলে রক্ষণ কিংবদন্তি রামোসের মতো জায়গা হয়নি লিভারপুল মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকান্তারারও। প্রথমবারের মতো দলে এসেছেন আনসু ফাতি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর রামোস জানিয়েছিলেন, কাতার বিশ্বকাপও খেলতে চান। কিন্তু ৩৬ বর্ষী তারকাকে চোট ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় বাদই রাখা হল। সাবেক অধিনায়ক জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও স্প্যানিশ লা লিগায় খেলা একগাদা তারকাকে নিয়ে দল সাজিয়েছেন এনরিকে। কাতার যাচ্ছেন অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ে খেলা নিকো উইলিয়ামস ও ভ্যালেন্সিয়া ডিফেন্ডার হুগো গুইলিয়ামন।
বৈশ্বিক আসরের পর্দা ওঠার তিনদিন পর, তথা ২৩ নভেম্বর স্প্যানিয়ার্ডদের প্রথম ম্যাচ কোস্টারিকার বিপক্ষে। ‘ই’ গ্রুপে তাদের সাথে আছে জার্মানি ও জাপান। ২৭ নভেম্বর জার্মানি ও পহেলা ডিসেম্বর জাপানিদের বিপক্ষে নামবে এনরিকের শিষ্যরা।
স্পেনের বিশ্বকাপ দল
গোলকিপার: উনাই সিমন, রবার্ট সানচেজ, ডেভিড রায়া।
ডিফেন্ডার: দানি কারভাহাল, চেজার আজপিলিকুয়েতা, এরিক গার্সিয়া, জর্ডি আলবা, পাউ তরেস, ডিয়েগো লরেন্টে, হুগো গুইলেমন, হোসে গায়া।
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, পেদ্রি, গ্যাভি, রদ্রি, কোকে, মার্কোস লরেন্টে, কার্লোস সোলের।
ফরোয়ার্ড: ফেররান তরেস, আলভারো মোরাতা, পাবলো সারাবিয়া, জেরেমি পিনো, বোর্জা ইগলেসিয়াস, নিকো উইলিয়ামস, দানি ওলমো ও মার্কো আসেনসিও।
কোচ: লুইস এনরিকে।
বিজ্ঞাপন