প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার যাচ্ছেন আগামীকাল

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কক্সবাজার আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দলীয় নেত্রীর আগমনী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঝে। পুরো শহর জুড়ে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত ৩০ বন্ধু প্রতিম দেশের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌ শক্তি উদ্বোধনের পাশাপাশি বিকালে কক্সবাজার শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।

কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কক্সবাজার শহর ছেয়ে-গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দলীয় নেতাকর্মীরা আশা করছেন, এবারের জনসভাটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগমে পরিণত হবে। এদিকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসভাস্থল সহ আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সাড়ে ৫ বছর পর আজ বুধবার কক্সবাজার সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

আর প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে পুরো জেলা শহরে এখন সাজ সাজ রব। নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সড়ক-উপসড়কগুলো ছেয়ে গেছে রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে। এতে শোভা পাচ্ছে কক্সবাজারে চলমান মেগা প্রকল্প ও বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর ব্যানারও। সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় জনসভায় বেশ কয়েকটি বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং নতুন কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এদিকে দলীয় সভানেত্রীর জনসভাকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও জনসভা সফল করতে তৃণমূল পর্যায়ে চালানো হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, মহেশখালী থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য কক্সবাজার আসবেন।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখার জন্য আমার এলাকার জনগণ উদগীব হয়ে আছে। চকরিয়া পেকুয়া থেকে ৫০ হাজার দলীয় নেতাকর্মী আজ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগদান করবে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যম হিসেবে এবারের জনসভায় সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটাতে আওয়ামী লীগ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জনসভার মাঠ ছড়িয়ে পুরো কক্সবাজার শহর জনসভায় রূপান্তরিত হবে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান পিপিএম বলেছেন,প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নেয়া হয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। যেখানে দায়িত্বপালন করবে ৪ হাজারের বেশি পুলিশ। কক্সবাজার সহ আশপাশের চারটি জেলা থেকে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের জন্য কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।

কক্সবাজারে জনসভায় ২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পের বাস্তবায়িত হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা