মধ্যবিত্তের রোজার বাজেট কমেছে অর্ধেক

তেল, চিনি, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার রোজার বাজেট অর্ধেকে নামিয়ে এনেছেন বলে জানিয়েছন মধ্যবিত্তরা। রোজার এক মাস আগেই বেড়ে গেছে অনেক পণ্যের দাম। গত কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে এরই মধ্যে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের হিমশিম অবস্থা।

রাজধানীর মহাখালি কাঁচাবাজারে ২৯ বছর ধরে গরুর মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করেন মুজিবর। তার হাত থেকে কেজি কেজি মাংস কিনে নিয়ে যান বিত্তবান ক্রেতারা। কিন্তু নিজের সাত সদস্যের পরিবারের জন্য মাংস কিনেছেন কিনা প্রশ্ন করতেই ধরে রাখতে পারেনি চোখের পানি।

বাজার ঘুরতেই দেখা হয় মোমেনার সঙ্গে। দিনমজুর স্বামীর আয়ে মাছ মাংস কেনার সামর্থ্য নাই। তাই দুই সন্তানের জন্যে দোকানে ভাঙা ডিমের খোঁজ করছেন তিনি। তিনি বলেন, মুরগি আর গরুর দাম তো অনেক বেশি। আমাদের নাগালের বাইরে। ভাঙ্গা ডিমের দাম কম থাকায় বাচ্চাদের জন্য ভাঙ্গা ডিম কিনছি।

বাজার ঘুরে ভিক্ষা করেন আশিবছরের জয়নব। প্রতিদিন যা টাকা পান তা দিয়েই চলে খাওয়া দাওয়া। ভিক্ষা করতে না পারলে উপোস কাটাতে হয়। তিনি বলেন, আগে অনেকেই খেতে দিত। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন দিতে চায় না।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে বাজার। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন রোজায় পণ্যের দাম আর বাড়বে না। তবে দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকে একমাস আগেই সেরেছেন রোজার বাজার।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে রোজার এক সপ্তাহ আগেই বেশির ভাগ পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে এখন স্থিতিশীল।

কাঁচাবাজারচিনিছোলাতেলমধ্যবিত্তরোজা