প্রেক্ষাগৃহে এখনও দাপট অব্যাহত রেখেছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘পরাণ’ ও মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। অষ্টম সপ্তাহে পার হলেও এখনো হাউজফুল যাচ্ছে ‘পরাণ’। অন্যদিকে ‘হাওয়া’ ৬ষ্ঠ সপ্তাহেও দর্শকে আগ্রহে শীর্ষে!
হল মালিকরা বলছেন, নিকট অতীতে বাংলা সিনেমার এমন নজির দেখা যায়নি যা ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ দেখিয়ে চলেছে।
শুক্রবার নবম সপ্তাহে পড়েছে ‘পরাণ’। এই সপ্তাহে এসেও ৩১ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে মিম, শরিফুল রাজ, ইয়াশ রোহান, শহিদুজ্জামান সেলিম, রোজি সিদ্দিকী, রাশেদ অপু অভিনীত এ সিনেমাটি।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ টেক এর ব্যানারে নির্মিত ছবিটি নিয়ে প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত জানান, কয়েকটি হলে দ্বিতীয়বারের মতো আবার নতুন করে ‘পরাণ’ চালানো হচ্ছে। সিডনিতে ভালো চলছে। এ মাসের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্টে মুক্তি পাবে। সেই সঙ্গে ইউরোপেও মুক্তি পাবে। তবে এত কিছুর মধ্যেও সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, রাজশাহী শহরে ২০১৮ সাল থেকে সিনেমা হল ছিল না। ‘পরাণ’ এর মাধ্যমে সেখানকার হোটেল গ্র্যান্ড রিভারভিউয়ে ২৩০ সিটের পদ্মা সিনেমা হলের পর্দা উঠছে।
অন্যদিকে সুমনের ‘হাওয়া’ ষষ্ঠ সপ্তাহে এসেও দেশের ৪২টি সিনেমা হলে মহাসমারোহে চলছে। একদিকে পরাণ, অন্যদিকে হাওয়া দুই সিনেমা মিলিয়ে দেশের ৭৩টি সিনেমা হল বর্তমানে চাঙা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১১৭টি সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়ে রেকর্ড গড়েছে। সেখানে সিনেমাটি পরিবেশনা করছে ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ৭ দিন আগেই মাল্টিপ্লেক্সগুলোর ‘হাওয়া’র টিকেট বিক্রি শুরু করা যা বাংলা সিনেমার জন্য গৌরবের। উত্তর আমেরিকার বক্স অফিস মাতানোর পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সিনেমাকে এক ধাক্কায় উপরে নিয়ে যেতে পারে।
‘হাওয়া’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাসির উদ্দিন খান, সুমন আনোয়ার, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ।