বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটা সময় বেশ নাম করেছিলেন বলিউড তারকা যুগল হংসরাজ। শিশুশিল্পী হয়ে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করে একটা সময় হিরোর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে সেই স্টারডম খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। দ্রুতই ঝরে পড়েন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
১৯৮৩ সালে শেখর কাপুরের ছবি ‘মাসুম’-এ শিশুশিল্পী হয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেছিলেন যুগল হংসরাজ। এরপর ১৯৮৬ সালে ‘কর্ম’ এবং ‘সুলতানাত’ এর মতো ছবিতেও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করতে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।
ছোটবেলায় অনেক বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। অবশেষে ১৯৯৪ সালে ‘আ গালে লাগ জা’ ছবি দিয়ে পরিণত বয়সে তার বলিউড যাত্রা শুরু হয়। ওই ছবিতেই হিরোর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
হিরো হিসেবে বলিউডে ডেবিউ করার পর প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন যুগল। দর্শকদের কাছ থেকেও অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে ‘পাপা কেহতে হ্যায়’ ছবিটি অভিনেতার ক্যারিয়ার আরও চাঙ্গা করে তোলে। শুধু তাই নয় ‘মহব্বতে’, ‘কাভি খুশি কভি গম’ এবং ‘সালাম নমস্তে’-এর মতো ছবি তার ক্যারিয়ারে মাইলস্টোন হয়ে দাঁড়ায়।
অনেকেই সেই সময় ধরে নিয়েছিলেন বলিউডের পরবর্তী সুপারস্টার হবেন যুগল হংসরাজ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাগ্য এমন মোড় নেয় যে সিনেমা জগত থেকে দূরে সরতে থাকেন অভিনেতা। বলিউডের একজন উজ্জ্বল তারকা পর্দা থেকে এমনভাবে অদৃশ্য হয়ে যান যেন কেউ তাকে দেখেননি।
একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি তখন পর্দা থেকে অদৃশ্য হননি, বরং তিনি সেইসব ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন যা তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। একের পর এক হিট ছবি দেওয়ার কারণে যুগলের সঙ্গে কাজ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ করার প্রতিযোগিতা চলছিল নির্মাতাদের মধ্যে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন একাধিক পরিচালক এবং প্রযোজকের থেকে একসঙ্গে ৪০টি ছবির অফারও পেয়েছিলেন অভিনেতা।
যুগল সেই সব ছবিতে একটানা কাজ শুরু করেছিলেন, যার কারণে তিনি পর্দা থেকে দূরে চলে গেলেও ছবিগুলি কিন্তু ঠিকই রয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫টি ছবি তৈরি হয়েছে। বাকিগুলির কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিংবা শুটিংই শুরু হয়নি কোনটির।
একগুচ্ছ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে বছরের পর বছর বলিউডের পর্দা থেকে দূরে থাকেন অভিনেতা। অভিনেতার ক্যারিয়ারের সোনালি সময় নষ্ট হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে তার একটি বা দুটি ছবি মুক্তি পায়, কিন্তু বক্স অফিসেও সেগুলো ফ্লপ প্রমাণিত হয়। ফলে দেখতে দেখতে বলিউড থেকে অদৃশ্য হয়ে যান তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা