পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রস্তাব মেনে নিয়ে দেশটির জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এমনিতেই এর মেয়াদ ১২ অগাস্ট শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তার আগেই অন্তবর্তী সরকার এবং নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে ৯ আগস্ট ভেঙ্গে যায় পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ।
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন, তার নাম যেন শরীফ তিনদিনের মধ্যে সুপারিশ করেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে যাওয়ার সময় প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খান জেলে বন্দি। তিনি মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। তাকে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সাজা বহাল থাকলে তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
ফলে একটি অনিশ্চিত অবস্থার দিকে এগোচ্ছে পুরো দেশের নির্বাচন পরিস্থিতি।
পাকিস্তানের নির্বাচন কবে হবে?
প্রথমত, নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এই নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্বাচন কেন্দ্রের সীমানা পুননির্ধারণ করতে চায়। সেটা করতে গেলে খুব কম করে হলেও একমাস সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর ভোট হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে একটি কথা ঘুরছে। সেটা হলো, বর্তমান জোট সরকারের জনপ্রিয়তার রেখচিত্র নিচের দিকে। প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ফলে এখন নির্বাচন হলে জোটের মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্যই শেহবাজ শরীফদের কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।
তাই দেশটির জাতীয় নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে নাও হতে পারে।
ইমরান খানের কী হবে?
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান এখন জেলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সরকারি উপহার নামমাত্র মূল্যে তিনি ও তার পরিবার বেআইনি ভাবে কিনেছে। সেই অপরাধে আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ইমরান খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। হাইকোর্ট সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনে রায় দেবে।
তবে এই শাস্তি বহাল থাকলে ইমরান খান আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। এছাড়াও কোন সরকারি পদে থাকতে পারবেন না তিনি।
বিজ্ঞাপন