সাফজয়ী ফুটবলাররা দাবি পূরণে বন্ধ রেখেছিলেন অনুশীলন

হিমালয়ের দেশ নেপালে গত বছর লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়িয়ে মেয়েদের সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দেশকে সাফল্য এনে দেয়া ফুটবল কন্যারা বাফুফের কাছে নিজেদের কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছিল। একপর্যায়ে দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা অনুশীলনও বন্ধ করে দিয়েছিল।

আর্থিক সংকটে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ের ম্যাচে অংশ নিতে না পারা ইস্যুতে সোমবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানেই বিস্ময়কর এমন তথ্যই দিলেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

‘ফুটবলাররা আমার কাছে বলেছিল এখন তাদের যা বেতন তার পাঁচ গুণ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ম্যাচ ফি আর বোনাস দিতে বলেছে। ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে বলেছে। পাঁচ গুণ বেতন বাড়ানোর দাবি ছাড়া সবগুলো যুক্তিসঙ্গত। আমি নিজেই দেখেছি ভালো মানের খাবার পাচ্ছে না।’

‘খাবারে বছরে এক কোটি টাকার বেশি লাগে। এটা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না। আমি মেয়েদের বলেছিলাম দ্বিগুণ বেতন দেবো। ফুটবলাররা অনুশীলন বন্ধ করে দেয়। তারা মোটেও সঠিক মানসিকতার ভেতর ছিল না। আমি বললাম তোমরা অনুশীলন শুরু কর। এরপর তারা শুরু করেছে।’

অলিম্পিক বাছাইয়ের ম্যাচে অংশ নিতে য়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে না পারার কারণ হিসেবে গণমাধ্যমের সুনাম ক্ষুণ্ণ করাকে দায়ী করেও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কাজী সালাউদ্দিন। একইসঙ্গে জাতীয় দলের মেয়েদের অনুশীলন বন্ধের পেছনেও তিনি একই কারণ দাঁড় করান।

‘অনুশীলন বন্ধ করেছে এর জন্য আপনারা দায়ী। তারা সাহস পেয়ে গেছে। এটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। তারা চ্যাম্পিয়ন হলে প্রধানমন্ত্রী তাদের ডেকে পাঠায়, খাওয়া- দাওয়া করায়, সরাসরি টাকা দিয়ে দেন।’

অলিম্পিক বাছাই-২০২৪এএফসিবাফুফেবাংলাদেশ নারী ফুটবল দললিড স্পোর্টসসালাউদ্দিন