সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ কাটিয়ে উঠার আহ্বান

‘বিশ্ব নাট্য দিবস সম্মাননা ২০২৩’ গ্রহণের পর অভিনয়শিল্পী, নাট্যনির্দেশক ও সংগঠক মামুনুর রশীদ

সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে এই সময়ে ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ কাটিয়ে উঠার বিকল্প নাই বলে আবারও মন্তব্য করেছেন অভিনয়শিল্পী, নাট্যনির্দেশক ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। সোমবার (২৭ মার্চ) শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নাট্য দিবস সম্মাননা ২০২৩’ গ্রহণের পর এমন আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ কেন্দ্র, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পথনাটক পরিষদের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত হয়।

সম্প্রতি অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ নিয়ে মন্তব্য করার বিষয়টি নিয়েও এদিন কথা বলেন মামুনুর রশীদ। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে।” তার বক্তব্যটি ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল আছেন, এমনটা জানিয়ে এদিন তিনি বলেন, আপনারা যারা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, “তারা দেখেছেন, আমার একটি উক্তি নিয়ে হাজার হাজার কমেন্ট হচ্ছে। আমি বলেছি, রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে- সেই দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। এই উত্থান জাতির জন্য আমাদের সংস্কৃতির জন্য ভয়ংকর। এই উত্থানের মূলে আমাদের রাজনীতি আছে, আমাদের মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা আছে।”

“যে অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম- ‘রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে’ সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও ছিলেন। যখন আমি বলেছি, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তিনিও সেটা স্বীকার করেছেন।”-বলছিলেন মামুনুর রশীদ।

সমালোচনাকে আমলে নিয়ে এই নির্দেশক ও অভিনেতা বলেন,‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে অনেকেই অভিযুক্ত করেছেন, যে এই রুচির দুর্ভিক্ষের জন্য আমরাও দায়ী। হ্যাঁ, আমরাও অবশ্যই দায়ী। কিন্তু যারা অভিযুক্ত করছেন, তারা জানেন না, আমরা যারা ৫০ বছর ধরে নাটক করছি, তারা কী কষ্ট করে রাতের পর রাত নিজের জীবনকে বিপন্ন করে রক্ত-ঘাম করে থিয়েটার করেছি।’

‘নাট্য সংস্কৃতি’ গড়ে তুলতে না পারার কথা বলে মামুনুর রশীদ বলেন, “নাট্য সংস্কৃতির মধ্যে শুধু নাটকের লোক নয়, আমরা দর্শককেও রুচিবান করতে পারিনি। রুচির দুর্ভিক্ষ দর্শকের মধ্যেও হচ্ছে। তারা এখন যেসব নাটক বা অনুষ্ঠান পছন্দ করছে, আমরা সেই বিষয়গুলো কল্পনাও করিনি বা ভাবিনি। নাট্যসংস্কৃতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।”

থিয়েটারনাটকমামুনুর রশীদরুচির দুর্ভিক্ষলিড বিনোদনসিনেমা