গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বিদায় জানালো চ্যানেল আই

চ্যানেল আই ভবনে কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে চ্যানেল আই চত্বরে তার জানাজায় অংশ নেন সংগীত ও সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা।

জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানান চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।

এসময় তিনি সংগীত ও চলচ্চিত্রে কিংবদন্তী গাজী মাজহারুল আনোয়ারের অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন। এছাড়াও চ্যানেল আইয়ের সাথে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গভীর সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন শাইখ সিরাজ। এসময় কথা বলেন গাজী মাজহারুলের ভাই এবং ছেলে।

চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগীতব্যক্তিত্ব ফোয়াদ নাসের বাবু, চিত্রনির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক খোরশেদ, গীতিকার আসিফ ইকবাল, গীতিকার জুলফিকার রাসেল, সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী, শফিক তুহীন ও গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন সহ সংগীত ও চলচ্চিত্রের আরও গুণী ব্যক্তিত্বরা।

চ্যানেল আই থেকে দুপুর ৩টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানের আজাদ মসজিদের দিকে রওনা হয়। তৃতীয়বারের মতো সেখানে জানাজা সম্পন্ন করে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বিশ হাজারেরও বেশি গানের গীতিকার তিনি। যার অসংখ্য গান মানুষের মুখেমুখে। তারমধ্যে অন্যতম জয় বাংলা বাংলার জয়, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হলো’র মতো দেশাত্মবোধক গান যেমন আছে, তেমনি সিনেমার জন্য আছে গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম -এর মতো কালোত্তীর্ণ আধুনিক গান।

বিবিসি বাংলা তৈরিকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ বার গীতিকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ২০২১ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনে।

অভিনয়চ্যানেল আইজুলফিকার রাসেলমুশফিকুর রহমান গুলজারলিড বিনোদনশাইখ সিরাজসংগীতসিনেমাসোহানুর রহমান সোহান