সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে করেছিলেন নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। যা দিয়ে ক্রিস গেইলের সঙ্গে যুগ্মভাবে আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির সিংহাসনে বসেছিলেন। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আবারও হাঁকিয়েছেন শতক। বনে গেছেন আইপিএল ইতিহাসের সর্বাধিক সাত সেঞ্চুরি মালিক। তবুও হতে পারেননি জয়ের নায়ক। গুজরাটের কাছে ৬ উইকেটে হেরে প্লে-অফের আগেই বিদায় নিয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর।
কোহলির আইপিএল ট্রফিটা অধরাই থেকে গেল। সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিয়েও শিরোপার ছোঁয়া পাচ্ছেন না। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে বসে থাকা ভারতের সাবেক অধিনায়ককে পেয়ে বসেছিল রাজ্যের হতাশা। আইপিএলের ট্র্যাজিক নায়ক হওয়াটা কিছুতেই যেন মানতে পারছিলেন না। চোখ করছিল ছলছল। কান্না লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টাও করলেন। মাঠে নেমে তাকে পা ভাঁজ করে শুয়ে পড়তে দেখা গেল।
অথচ ব্যাট হাতে যখন নতুন রেকর্ড গড়লেন, কোহলি হয়তো কল্পনাও করেননি ম্যাচ শেষে এমন হারের যন্ত্রণায় ডুবতে হবে। সেঞ্চুরির পর করেছিলেন নজরকাড়া উদযাপন, গ্যালারিতে উপস্থিত স্ত্রী ও বলিউড নায়িকা আনুশকা শর্মা প্রিয়তমর প্রতি ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন একের পর এক উড়ন্ত চুমু। ৬১ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা কোহলির প্রতি পুরো গ্যালারি ও ডাগআউট দাঁড়িয়ে জানিয়েছে সম্মান।
সেঞ্চুরির পর উচ্ছ্বাস নিয়ে দিয়েছিলেন সাক্ষাৎকার। বলেছিলেন, ‘আমি দারুণ অনুভব করছিলাম। অনেকেই ভেবেছিল আমার টি-টুয়েন্টিতে ধার কমে যাচ্ছে। মোটেও তেমন অনুভব করি না। আবারও নিজের সেরা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলছি বলেই মনে করি। নিজে থেকেই বেশ উপভোগ করছি। এভাবেই টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটটা খেলি। মাঠে ফিল্ডিংয়ের ফাঁক বুঝে হিট করি। অনেকবেশি বাউন্ডারি মারি এবং পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বড় ইনিংস খেলি।’
আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কোহলি পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির নজির গড়েছেন। এমন নজির গড়েছিলেন শিখর ধাওয়ান ও জস বাটলার। রেকর্ড গড়ার পরও আসরের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রাজার মুখে স্পষ্ট ছিল হৃদয়ভাঙার যন্ত্রণা। শুভমন গিলের ৫২ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের কাছে আত্মসমর্পণ করে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়েছে বেঙ্গালোর।
বিজ্ঞাপন