গানের মেধাস্বত্ব থেকে করিম পরিবার পেল ১০ হাজার ডলার

বাউল শাহ আবদুল করিম ছাড়াও হাছন রাজা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরীর নামে তিন ওয়েবসাইট উদ্বোধন

বাউল শাহ আবদুল করিম প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। তারমধ্যে ৪৭২টি গান সংরক্ষণ করা হয়। এক বছরের গানের রয়্যালটি হিসেবে করিম পরিবার পেল ১০ হাজার ডলার।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় আর্কাইভস ভবনের সম্মেলনকক্ষে আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালালের হাতে রয়্যালটির ১০ হাজার ডলারের চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো. দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রিয়াংকা দেবী পাল।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুজিত মুস্তাফা, মনির খান, মানাম আহমেদ, ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্য শেখ মুনিরুল আলম টিপু, শিল্পী ও সুরকার জুয়েল মোর্শেদ, গীতিকবি আসিফ ইকবাল, দেলোয়ার আরজুদা শরফ, কবি মারুফুল ইসলাম, প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা প্রমুখ।

কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে শাহ আবদুল করিম সহ মরমি কবি হাছন রাজা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীতকর্ম সংরক্ষণের জন্য তাদের তিনটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন,‘প্রযুক্তির কল্যাণে গান সংরক্ষণ করা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এমন সুন্দর একটি কাজ করার জন্য কপিরাইট অফিসের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, শিল্পীরা অনলাইন থেকে যদিও টাকা তুলছেন, কিন্তু এখানে জমা হচ্ছে ডলার, সরকার পাচ্ছে রেমিট্যান্স। শিল্পীরা উপকৃত হলে সেটা কেবল তাদের ব্যক্তিগত উপকার নয়, দেশও উপকৃত হচ্ছে।

শিল্পীদের মেধাসত্ব ও আর্থিক সুরক্ষার জন্য ওয়েবসাইটগুলো করা হয়েছে বলে জানান কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার। সিনেমার গানের মেধাসত্ব বিষয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে বলেও এসময় জানানো হয়।

গানডলাররেজওয়ানা চৌধুরী বন্যালিড বিনোদনশাহ আবদুল করিমসংস্কৃতি মন্ত্রীহাছন রাজা