সাইফের জন্ম যেখানে ১৯৭০ সালে, সেখান কারিনার ১৯৮০ সালে। পাক্কা ১০ বছরের পার্থক্য এই দম্পতির মাঝে। কিন্তু তাতে কী! বয়সের ব্যবধান কখনওই সাইফ-কারিনার সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
বেশ কয়েকবছর প্রেমের পর ২০১২ সালে ‘নবাব’ পুত্র সাইফের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ‘কাপুর’ কন্যা কারিনা কাপুর খান। সেসময় বয়সের এত ব্যবধান পাশাপাশি দুজনের ভিন্ন ধর্ম নিয়ে নানান কথা শুনতে হয়েছিল এই জুটিকে। বিয়ের প্রায় ১২ বছর পর সেই বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন কারিনা।
সাক্ষাৎকারে সাইফের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান নিয়ে কারিনা বলেন, ‘বয়স কখনওই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার তো মনে হয় সাইফ বয়স বাড়ার সঙ্গে এখন আরও বেশি হট। আমি খুশি যে ওর থেকে আমি ১০ বছরের ছোট, এটা বরং সাইফের চিন্তার বিষয়। যদিও ওকে দেখলে কেউ বলবে না যে ওর বয়স ৫৩। বয়স কোন ব্যাপারই নয়। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল পরস্পরের প্রতি সম্মান, ভালবাসা এবং আমরা একে অপরের সঙ্গে আনন্দে আছি।’
এদিন সাক্ষাৎকারে সাইফ ও তার ভিন্ন ধর্ম প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন কারিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এই ভিন্ন ধর্মে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করে অনেক সময় ব্যয় করি, অনেক এনার্জি নষ্ট করি। বয়সের পার্থক্যে বিয়ে নিয়েও অকারণ আলোচনা করি। তবে আসল কথা হল আমরা ভালো আছি কিনা! আমার একে অপরের সঙ্গে ভালো আছি। একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করছি। তাই ও কোন ধর্মে বিশ্বাসী, ওর বয়স কত এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ প্রসঙ্গত সাইফকে বিয়ে করলেও ধর্মান্তরিত হননি কারিনা।
কারিনাকে বিয়ের আগে সাইফ আলি খান ১৩ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন। সে ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। যাদের একজন সারা আলি খান ও অন্যজন ইব্রাহিম আলি খান। ২০০৪ সালে সাইফ-অমৃতার বিবাহবিচ্ছেদের পর ২০১২ সালে কারিনাকে বিয়ে করেন সাইফ। বর্তমানে তাদের ঘরে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। একজন তৈমুর আলি খান ও অন্যজন জাহাঙ্গীর আলি খান।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
বিজ্ঞাপন