জাবি’তে পাখি মেলা শুক্রবার

রুবেল হোসাইনপাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পাখি মেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল আটটায় এ মেলার কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।

মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকবে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারস দিয়ে শিশু কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র এবং পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।

বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম প্রদর্শনের জন্য জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে বসবে স্টল। পত্র-পত্রিকা, প্রকাশনা, ছবি ইত্যাদি দিয়ে এ স্টল সাজানো যাবে। বিচারকদের রায়ে সেরা তিনটি স্টলকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন মেলার আহ্বায়ক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুল হাসান খান।

তিনি বলেন, মেলায় বাংলাদেশের পাখির নতুন প্রজাতি, বিপন্ন বা বিরল প্রজাতির পাখির সন্ধানের পর্যবেক্ষণের (ভিডিও ডকুমেন্টারি বা ছবি) উপর বিগ বার্ড বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে পাখি তথা জীববৈচিত্র সম্পর্কিত প্রকাশিত সংবাদের উপর তিন জনকে কনভারসেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং পাখির  উপর বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘শুধুমাত্র আইনের প্রয়োগ করে জীববৈচিত্র্য বা পাখি বাঁচানো সম্ভব নয়। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে যদি সচেতন হই তাহলে পাখির অবৈধ শিকার ও বিক্রি যেমন বন্ধ হবে তেমনি পাখি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’

‘বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব’ ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাখি মেলার আয়োজন করে।

পরবর্তীতে পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ২০০১ সাল থেকে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিকভাবে পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। এর মধ্যে ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

পাখি মেলা