ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সম্মান জানিয়ে কানাডার হাউস অব কমন্সে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আইন-বিল এস-২১৪ পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ কানাডার স্থানীয় সময় সাড়ে ৫টায় বিলটি পাস হয়।
এসময় বিলটির উত্থাপনকারী কেন হার্ডি এমপি, বিলটির আরেক প্রবক্তা সিনেটর মবিনা এস জাফর, বিরোধী সিপিসি নেতা এবং কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার হাউস অফ কমন্সে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ সময়ে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এবং পরে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি গৃহীত হওয়ার জন্য প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান এবং মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলামের অবদান বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ছাড়া কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ যারা মহান একুশকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিল। এর জন্য সমগ্র বাঙালি জাতি তথা কানাডিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশীরাও গর্বিত।
মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিশ্ব সমাজের মাতৃভাষা প্রেমীদের উদ্যোগ এবং মহান অবদানকে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।’ তিনি বলেন, প্রায় এক দশক ধরে কানাডিয়ান সংসদ সদস্য ও সিনেটরদের সাথে বিলটি উত্থাপন করার জন্য কাজ করেছি। বিলটি পাস হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে, প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
বিজ্ঞাপন