‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়াপ্রেমী। ওনার বাবার নামে এই টুর্নামেন্ট। তিন তিনবার ট্রফি আমরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাবাডির দিকে একটু তাকালেই কাবাডি অনেককিছু পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা ভালো একটা প্রাইজমানি চাই।’
টানা তৃতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এভাবেই অনুরোধ করলেন জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক তুহিন তরফদার।
সরকার কিংবা ফেডারেশনের কাছে আপনাদের কোন চাওয়া-পাওয়া আছে কিনা এমন প্রশ্নে তুহিন বললেন, ‘ক্রিকেটে সাফল্য পেলে খেলোয়াড়রা ফ্ল্যাট পান, বিভিন্ন ঘোষণা আসে। আমি চাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে সাড়া দেবেন এবং আমাদের একটা ভালো অ্যামাউন্ট উপহার দিয়ে আর্থিক সহায়তা করবেন।’
জাতীয় খেলা হলেও ক্রিকেট-ফুটবলের তুলনায় যোজন পিছিয়ে কাবাডি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রো কাবাডি লিগের মাধ্যমে খেলাটিতে এসেছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশে খেলাটির জনপ্রিয়তা বিকাশে ক্লাবগুলোকে বড় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘সিনিয়রদের জায়গাটা পূরণ করতে তরুণদের লাগবে। প্রো-কাবাডি আয়োজনের মাধ্যমে এবং দেশের বড় বড় ক্লাব আবাহনী, মোহামেডান যখন দল করবে, একটা দল করতে ২০ জন খেলোয়াড় অবশ্যই লাগবে। প্রো-কাবাডিতে যদি ৫টা দলও আসে, সেক্ষেত্রে ১০০ জন খেলোয়াড়ের খেলার সুযোগ হবে। ওখান থেকে ১২ জন সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে আমাদের সহজ হবে। কারণ একটা জাতীয় দল গড়তে ১২ খেলোয়াড় লাগে।’
‘ক্লাবগুলোর প্রতি আহ্বান রাখব, আপনাদের ক্রিকেট-ফুটবলের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দল নিচ্ছেন, প্রো-কাবাডি দলে সেখানেও এগিয়ে আসবেন। কাবাডিকে চর্চা করেন। বাংলাদেশে কাবাডির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আপনারা এগিয়ে এলে পদক আমরা অবশ্যই নিয়ে আসব।’
‘অবশ্যই এই ব্যাপারে আমাদের কাবাডি ফেডারেশনের পরিকল্পনা আছে। ভারতের একটা প্রো-কাবাডি লিগ হয়। আমাদের বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সেই আদলে একটা টুর্নামেন্ট করতে চাচ্ছে এবং সেটা যখন শুরু হবে, আমাদের তরুণরা উঠে না আসলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব না। আমি সিনিয়র হয়ে গেছি, আরদুজ্জামান সিনিয়র- এমন আরও অনেক সিনিয়র প্লেয়ার দল থেকে ইতিমধ্যে চলে গেছেন।’